কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ এসে পৌঁছাল। পুলিশের গাড়ি বিক্রম আর অঘোরবাবুকে নিয়ে চলল স্বর্গদ্বারের উদ্দেশ্যে। কিন্তু বিপদ পিছু ছাড়ে না। হোটেলে পৌঁছেই দেখা গেল বিক্রমদের জিনিসপত্র রুম হতে বেরকরে রিসেপসনে রাখা হয়েছে। বিজনবাবু এগিয়ে এলেন বিক্রমের কাছে। তিনি বললেন, " আমার বলতে খুবই খারাপ লাগছে বিক্রমবাবু, আপনাদের আর এই হোটেলে রাখতে পারব না।"
বিক্রম বলল, "এ কি রকম কথা বিজনবাবু ! আমরা এখন কোথায় যাব ? আর আপনি যদি মনে করে থাকেন যে হোটেল হতে বের করে দিলেই তদন্ত থেমে যাবে তবে আপনি ভুল করছেন। এই তো বড়বাবুও এসেছেন।
বড়বাবু এইমাত্র হোটেলে ঢুকলেন। মুখের মধ্যে একটা পান পুরে দিয়ে বিক্রমের দিকে তাকিয়ে বললেন," এই যে বিক্রমবাবু, শুনলাম কোনার্ক হতে আসার পথে আপনাকে কেউ কিডন্যাপ করেছিল। আপনি সোজা এসপি সাহেবকে ফোন না করে আমাকে ফোন করতে পারতেন।"
বিক্রম বলল, "বিড়ালকে মাছ বাছতে দেওয়াটা বোকামি হয়ে যেত না মিঃ মহাপাত্র !"
বড়বাবু সবিস্ময়ে তাকালেন বিক্রমের দিকে । "আপনার কথা আমি বুঝতে পারছি না বিক্রমবাবু। "
বিক্রম বলল," বুঝিয়ে বলছি। আমি যখন এই প্রথমদিন এই হোটেলে আসি বিজনবাবু আমাকে দেখে ঘাবড়ে যান। তিনি ভেবেছিলেন যে আমাকে কেউ এই ভুতুড়ে আওয়াজের ও সহদেব সামন্তের সপরিবারে আত্মহত্যার রহস্যভেদের জন্য নিয়োগ করেছে। তাই তিনি একটা চাল চাললেন। আমাকে তার ফ্রি-ফান্ডের গেষ্ট করে নিলেন। কিন্তু নিয়তি সর্বত্র বলবান, আমাদের জন্য রুম নির্দিষ্ট হল ৩০৮ অর্থাৎ ভুতুড়ে রুমের পাশেই।
এইবার শুরু হল আসল খেলা। আমাদের ভয় দেখানোর জন্য সাউন্ড এফেক্টের কারসাজি শুরু হল। আমি ওই ঘরের কয়েকটা ছবি তুলেছিলাম। ছবিটা কিসের জানেন ? "
অঘোরবাবু বললেন," হ্যাঁ বিক্রমবাবু, আমার মনে পড়েছে। কিন্তু তারপর তো ছবিগুলোর কথা বেমালুম চেপে গেলেন মশাই । "
বিক্রম হেঁসে বলল," সবকিছুর সময় থাকে অঘোরবাবু। ছবিগুলো আমি ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠিয়েছিলাম। যে ওই ঘরে ঢুকে ভৌতিক আওয়াজের ব্যবস্থা করত সে খুবই চালাক, পায়ের ছাপ ঢাকতে একধরনের মিহি ধূলো ব্যবহার করত। আর এজন্যই ঘরের মধ্যে পায়ের ছাপ দেখা যেত না। ছবিগুলো সেইসব অস্পষ্ট পদচিহ্নের।
এরপরই রঘুকে লাগান হয় আমাদের গতিবিধি জানবার জন্য। রঘু আমাদের পিছন নেয়। আমি যে রঘুকে লক্ষ্য করেছি এটা বুঝে যান বিজনবাবু, তাই তিনি চাইলেন এক ঢিলে দুই পাখি মারতে। রঘুকে আমাদের রুমে ডেকে হত্যা করেন। "
সহসা বিজনবাবু চিৎকার করে উঠলেন," প্রমাণ আছে আপনার কাছে ? যে কাউকেই অপরাধী সাব্যস্ত করে ফেললেই হল না প্রমাণ দিতে হবে। "
বিক্রম বলল," কুল ডাউন বিজনবাবু, কুল ডাউন ! সব প্রমাণ আমি দেব। হ্যাঁ, প্রসঙ্গে আসি। বিজনবাবু চেয়েছিলেন মার্ডার কেসে আমাকে জড়িয়ে দিতে, কিন্তু তাতে বাধ সাজেন বড়বাবু। আমি রেহাই পেয়ে যাই।
আমার সন্দেহের তীর গিয়ে পড়ে আরেকজনের উপর। তাই আমি তাকে এড়িয়ে নিজস্ব সোর্সকে কাজে লাগাই। বৃদ্ধের বেশে উদয়গিরি যাই। কিন্তু বিজনবাবুর কাছে আমাকে হার মানতে হয়। যে ছেলেটি আমাকে মারতে গিয়েছিল সে আমাকে তাদের ঠ্যাং সন্মন্ধে অনেক তথ্য দেয়। এসব খবরও বিজনবাবু অ্যান্ড কোম্পানির কাছে যাচ্ছিল। তাই আমাকে রুখতে মরিয়া হয়ে ওঠে তারা। কিডন্যাপ করা হয় আমাদের।
কিন্তু মিঃ মহাপাত্র আপনার শেষরক্ষা হল না। "
বড়বাবু ফুঁসে উঠলেন," কি বলতে চান কি আপনি ? শখের গোয়েন্দা হয়েছেন বলে যা নয় তাই বলবেন ! আপনি আমাকে এখনো চেনেনি। আমি কি করতে পারি তা জানলে এখানে মরতে আসতেন না। "
বিক্রম বলল," প্রমাণ ছাড়া কোনো কাজ আমি করি না বড়বাবু। আমাদের যেখানে বেঁধে রাখা হয়েছিল সেখানে আপনার হাতের ছাপ পাওয়া গেছে। তাছাড়া আপনার পোষা গুণ্ডাদুটোর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাছাড়া ওই ফোনের কললিস্ট এনালিসিস করে দেখা হয়েছে। ওই দুজনকে আপনি এই দু'দিনে অজস্রবার কল করেছেন। "
বড়বাবু পালাবার উদ্যোগ করতেই দেখলেন সামনে ফোর্স নিয়ে এসপি সাহেব দাঁড়িয়ে। একজন এএসআই এসে বড়বাবুর হাতে হাতকড়া পরিয়ে দিলেন। বিজনবাবুকেও গ্রেফতার করা হল।
বিক্রম বলল," সময়মতো এসেপড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এসপি সাহেব। একটু দেরি হয়ে গেলে পাখি উড়ে যেত। "
এসপি সাহেব বললেন, "আপনাকেও ধন্যবাদ। আপনি না থাকলে এতবড় রহস্য সমাধান হত না। আমি অনেকক্ষন আগেই এসেছি। আপনার সব কথাই আড়াল হতে শুনেছি। কিন্তু গুপ্তধন নিয়ে তো কিছু বললেন না। "
বিক্রম হেঁসে বলল," গল্পটা আপনাকে আগেই বলেছি। এখন যেটা বলিনি সেটা হল বড়বাবুর সাথে এই গুপ্তধনের সম্পর্ক কি। বড়বাবুর সাথে কলকাতায় আলাপ হয় মৃন্ময় সরখেলের। ভদ্রলোক পুরাতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। তার কাছ হতেই বড়বাবু জানতে পারেন রাজা অনন্ত পদ্মণাভনের গুপ্তধনের কথা। মৃন্ময়বাবু ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খেতে গিয়েছিলেন। তাই সপরিবারে মৃন্ময়বাবু যখন বেড়াতে আসেন তখন তাদের ড্রাগ প্রয়োগে অজ্ঞান করা হয়। এরপর মৃত বলে ঘোষণা করে মিথ্যে ফরেন্সিক রিপোর্ট কোর্টে পেশ করা হয়। যেখানে মৃতদেহই নেই সেখানে ফরেন্সিক টেস্ট হয় কিভাবে !
সপরিবারে মৃন্ময়বাবুকে আটকে রাখা হয়। পুলিশ বোধ হয় এতক্ষণে তাকে উদ্ধার করেছে। আর মৃন্ময়বাবুর কাছ হতে তথ্য নিয়েই চলতে থাকে গুপ্তধন আবিস্কারের প্রচেষ্টা। "
বিক্রমের কথা শেষ হতে না হতেই এসপি সাহেবের ফোন আসে। কথা শেষ করে ফোনটা পকেটে রাখতে রাখতে এসপি সাহেব বললেন," মৃন্ময়বাবুকে সপরিবারে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের ভূবনেশ্বর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এতদিন আটক ছিলেন তো, মেডিক্যাল চেকআপ প্রয়োজন। "
--উপসংহার --
বড়বাবু আর বিজনবাবুর উপর খুন, অপহরণ, ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। ইদানিং তারা জেলের হাওয়া খাচ্ছেন। বিক্রম আর অঘোরবাবু পুরিতে আরো দিন তিনেক ছিলেন। সমুদ্রস্নান করে আর মাছভাজা খেয়ে অঘোরবাবুর মন খুব চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। ফিরবার সময় ট্রেনে বসে তিনি বিক্রমকে বললেন, " যা হবে হোক মশাই একবার ফুগু মাছ খেয়েই দেখব।" এই প্রথম অঘোরবাবু সঠিক ভাবে ফুগু বললেন। ট্রেন অন্ধকারে কু-উ-উ-ঝিক্-ঝিক্ করতে করতে ছুটে চলল হাওড়ার দিকে।
সমাপ্ত
বিক্রম বলল, "এ কি রকম কথা বিজনবাবু ! আমরা এখন কোথায় যাব ? আর আপনি যদি মনে করে থাকেন যে হোটেল হতে বের করে দিলেই তদন্ত থেমে যাবে তবে আপনি ভুল করছেন। এই তো বড়বাবুও এসেছেন।
বড়বাবু এইমাত্র হোটেলে ঢুকলেন। মুখের মধ্যে একটা পান পুরে দিয়ে বিক্রমের দিকে তাকিয়ে বললেন," এই যে বিক্রমবাবু, শুনলাম কোনার্ক হতে আসার পথে আপনাকে কেউ কিডন্যাপ করেছিল। আপনি সোজা এসপি সাহেবকে ফোন না করে আমাকে ফোন করতে পারতেন।"
বিক্রম বলল, "বিড়ালকে মাছ বাছতে দেওয়াটা বোকামি হয়ে যেত না মিঃ মহাপাত্র !"
বড়বাবু সবিস্ময়ে তাকালেন বিক্রমের দিকে । "আপনার কথা আমি বুঝতে পারছি না বিক্রমবাবু। "
বিক্রম বলল," বুঝিয়ে বলছি। আমি যখন এই প্রথমদিন এই হোটেলে আসি বিজনবাবু আমাকে দেখে ঘাবড়ে যান। তিনি ভেবেছিলেন যে আমাকে কেউ এই ভুতুড়ে আওয়াজের ও সহদেব সামন্তের সপরিবারে আত্মহত্যার রহস্যভেদের জন্য নিয়োগ করেছে। তাই তিনি একটা চাল চাললেন। আমাকে তার ফ্রি-ফান্ডের গেষ্ট করে নিলেন। কিন্তু নিয়তি সর্বত্র বলবান, আমাদের জন্য রুম নির্দিষ্ট হল ৩০৮ অর্থাৎ ভুতুড়ে রুমের পাশেই।
এইবার শুরু হল আসল খেলা। আমাদের ভয় দেখানোর জন্য সাউন্ড এফেক্টের কারসাজি শুরু হল। আমি ওই ঘরের কয়েকটা ছবি তুলেছিলাম। ছবিটা কিসের জানেন ? "
অঘোরবাবু বললেন," হ্যাঁ বিক্রমবাবু, আমার মনে পড়েছে। কিন্তু তারপর তো ছবিগুলোর কথা বেমালুম চেপে গেলেন মশাই । "
বিক্রম হেঁসে বলল," সবকিছুর সময় থাকে অঘোরবাবু। ছবিগুলো আমি ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠিয়েছিলাম। যে ওই ঘরে ঢুকে ভৌতিক আওয়াজের ব্যবস্থা করত সে খুবই চালাক, পায়ের ছাপ ঢাকতে একধরনের মিহি ধূলো ব্যবহার করত। আর এজন্যই ঘরের মধ্যে পায়ের ছাপ দেখা যেত না। ছবিগুলো সেইসব অস্পষ্ট পদচিহ্নের।
এরপরই রঘুকে লাগান হয় আমাদের গতিবিধি জানবার জন্য। রঘু আমাদের পিছন নেয়। আমি যে রঘুকে লক্ষ্য করেছি এটা বুঝে যান বিজনবাবু, তাই তিনি চাইলেন এক ঢিলে দুই পাখি মারতে। রঘুকে আমাদের রুমে ডেকে হত্যা করেন। "
সহসা বিজনবাবু চিৎকার করে উঠলেন," প্রমাণ আছে আপনার কাছে ? যে কাউকেই অপরাধী সাব্যস্ত করে ফেললেই হল না প্রমাণ দিতে হবে। "
বিক্রম বলল," কুল ডাউন বিজনবাবু, কুল ডাউন ! সব প্রমাণ আমি দেব। হ্যাঁ, প্রসঙ্গে আসি। বিজনবাবু চেয়েছিলেন মার্ডার কেসে আমাকে জড়িয়ে দিতে, কিন্তু তাতে বাধ সাজেন বড়বাবু। আমি রেহাই পেয়ে যাই।
আমার সন্দেহের তীর গিয়ে পড়ে আরেকজনের উপর। তাই আমি তাকে এড়িয়ে নিজস্ব সোর্সকে কাজে লাগাই। বৃদ্ধের বেশে উদয়গিরি যাই। কিন্তু বিজনবাবুর কাছে আমাকে হার মানতে হয়। যে ছেলেটি আমাকে মারতে গিয়েছিল সে আমাকে তাদের ঠ্যাং সন্মন্ধে অনেক তথ্য দেয়। এসব খবরও বিজনবাবু অ্যান্ড কোম্পানির কাছে যাচ্ছিল। তাই আমাকে রুখতে মরিয়া হয়ে ওঠে তারা। কিডন্যাপ করা হয় আমাদের।
কিন্তু মিঃ মহাপাত্র আপনার শেষরক্ষা হল না। "
বড়বাবু ফুঁসে উঠলেন," কি বলতে চান কি আপনি ? শখের গোয়েন্দা হয়েছেন বলে যা নয় তাই বলবেন ! আপনি আমাকে এখনো চেনেনি। আমি কি করতে পারি তা জানলে এখানে মরতে আসতেন না। "
বিক্রম বলল," প্রমাণ ছাড়া কোনো কাজ আমি করি না বড়বাবু। আমাদের যেখানে বেঁধে রাখা হয়েছিল সেখানে আপনার হাতের ছাপ পাওয়া গেছে। তাছাড়া আপনার পোষা গুণ্ডাদুটোর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাছাড়া ওই ফোনের কললিস্ট এনালিসিস করে দেখা হয়েছে। ওই দুজনকে আপনি এই দু'দিনে অজস্রবার কল করেছেন। "
বড়বাবু পালাবার উদ্যোগ করতেই দেখলেন সামনে ফোর্স নিয়ে এসপি সাহেব দাঁড়িয়ে। একজন এএসআই এসে বড়বাবুর হাতে হাতকড়া পরিয়ে দিলেন। বিজনবাবুকেও গ্রেফতার করা হল।
বিক্রম বলল," সময়মতো এসেপড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এসপি সাহেব। একটু দেরি হয়ে গেলে পাখি উড়ে যেত। "
এসপি সাহেব বললেন, "আপনাকেও ধন্যবাদ। আপনি না থাকলে এতবড় রহস্য সমাধান হত না। আমি অনেকক্ষন আগেই এসেছি। আপনার সব কথাই আড়াল হতে শুনেছি। কিন্তু গুপ্তধন নিয়ে তো কিছু বললেন না। "
বিক্রম হেঁসে বলল," গল্পটা আপনাকে আগেই বলেছি। এখন যেটা বলিনি সেটা হল বড়বাবুর সাথে এই গুপ্তধনের সম্পর্ক কি। বড়বাবুর সাথে কলকাতায় আলাপ হয় মৃন্ময় সরখেলের। ভদ্রলোক পুরাতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। তার কাছ হতেই বড়বাবু জানতে পারেন রাজা অনন্ত পদ্মণাভনের গুপ্তধনের কথা। মৃন্ময়বাবু ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খেতে গিয়েছিলেন। তাই সপরিবারে মৃন্ময়বাবু যখন বেড়াতে আসেন তখন তাদের ড্রাগ প্রয়োগে অজ্ঞান করা হয়। এরপর মৃত বলে ঘোষণা করে মিথ্যে ফরেন্সিক রিপোর্ট কোর্টে পেশ করা হয়। যেখানে মৃতদেহই নেই সেখানে ফরেন্সিক টেস্ট হয় কিভাবে !
সপরিবারে মৃন্ময়বাবুকে আটকে রাখা হয়। পুলিশ বোধ হয় এতক্ষণে তাকে উদ্ধার করেছে। আর মৃন্ময়বাবুর কাছ হতে তথ্য নিয়েই চলতে থাকে গুপ্তধন আবিস্কারের প্রচেষ্টা। "
বিক্রমের কথা শেষ হতে না হতেই এসপি সাহেবের ফোন আসে। কথা শেষ করে ফোনটা পকেটে রাখতে রাখতে এসপি সাহেব বললেন," মৃন্ময়বাবুকে সপরিবারে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের ভূবনেশ্বর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এতদিন আটক ছিলেন তো, মেডিক্যাল চেকআপ প্রয়োজন। "
--উপসংহার --
বড়বাবু আর বিজনবাবুর উপর খুন, অপহরণ, ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। ইদানিং তারা জেলের হাওয়া খাচ্ছেন। বিক্রম আর অঘোরবাবু পুরিতে আরো দিন তিনেক ছিলেন। সমুদ্রস্নান করে আর মাছভাজা খেয়ে অঘোরবাবুর মন খুব চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। ফিরবার সময় ট্রেনে বসে তিনি বিক্রমকে বললেন, " যা হবে হোক মশাই একবার ফুগু মাছ খেয়েই দেখব।" এই প্রথম অঘোরবাবু সঠিক ভাবে ফুগু বললেন। ট্রেন অন্ধকারে কু-উ-উ-ঝিক্-ঝিক্ করতে করতে ছুটে চলল হাওড়ার দিকে।
সমাপ্ত
No comments:
Post a Comment