-"আগে নিজে বাঁচ মাষ্টার। আমরা মরার জন্যেই এখানে এসেছি।" নির্মলবাবু হুঙ্কার ছাড়েন। দীনেশ নির্বাক। আসলে পালের গোদা এই মাষ্টারমশাই।
অনেক জেরার পর মাষ্টারমশাই স্বীকার করেন যে তিনিই আসল অপরাধী। এই টিলার আশেপাশে অনেক হীরা কুড়িয়ে পাওয়া যায়। আর সেই হীরা চোরাচালানের জন্যেই এতসব কাণ্ড। তবে মুয়াদেবের কাহিনীতে কোনো ভেজাল নেই। আর তার প্রমাণ এই হলঘরের সর্বত্র বিরাজমান।
আমার ধারণা মুয়াদেবের আকাশযান যখন এখানে নামে তখন যে প্রচণ্ড তাপের সৃষ্টি হয় সেই তাপের প্রভাবেই প্রকৃতিজাত কার্বন হীরাতে রূপান্তরিত হয়। মাষ্টারমশায়ের স্বীকারোক্তি চলাকালীন দীনেশ হঠাৎ আক্রমণ করে বসে। নির্মলবাবু হকচকিয়ে গিয়ে গুলি ছোড়েন আর সেই গুলি আকাশযানের বিশেষ কোনো অংশে গিয়ে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় বিশাল গর্জনের সাথে সাথে কম্পন। আমরা সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা করতে থাকি। কিন্তু সেটা সহজ বলে মনে হচ্ছে না। সামনের মনিটরে বিচিত্র লিপি ফুটে উঠতে থাকে। টিলাটা গায়ের সমস্ত মাটি পাথর ঝেড়ে ফেলে বিচিত্র আকাশযানের রূপ নেয়। একটু একটু করে উপরের দিকে উঠতে থাকে। এমনসময় আমার নজরে পড়ে ছোট্ট একটা দরজা। EXIT Door !!
আমি, দেবলীনা ও নির্মলবাবু তিনজনের দৌড়ে যাই দরজার দিকে। তারপর দরজাখুলে দিই ঝাঁপ। যা থাকে কপালে।
তারপর আর কিছু মনে নেই। চোখ খুলতেই দেখি সাবডিভিশনাল হাসপাতালের বিশেষ কেবিনে শুয়ে। সামনে ডাক্তার ও প্রেমা। আমি উঠতে চাইলে ডাক্তার মানা করেন। প্রেমা জানায় যে দেবলীনা ও নির্মলবাবু এখন সুস্থ্য। আমার আর দেবলীনার তেমন কিছু না হলেও নির্মলবাবুর একটা হাঁটু ফ্র্যাকচার হয়েছে।
-"ঝাঁপ দেওয়ার পর আর কিছুই মনে নেই। কিভাবে সন্ধান পেলে আমাদের ?" আমি জানতে চাই।
প্রেমা জানায় যে একটা বটগাছের মগডালে আমরা আটকে ছিলাম। আমাদের অলক্ষ্যে আমাদের পোষাকে জিপিএস চিপ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল আর সেই চিপ ট্র্যাক করে আমাদের উদ্ধার করে কম্যাণ্ডো টিম। তবে দীনেশ বা মাষ্টারমশাই দুজনেই নিখোঁজ। সম্ভবত তারা আর ফিরবে না কোনোদিন। মুয়াদেবের সাথেই চলে গেছে তারা তারকাদের দেশ পেরিয়ে।
আমার দেওয়া তথ্যমতো টিলার আশেপাশে অনেক হীরা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ দেবলীনাকে সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম নির্মলবাবুর বাড়ি। দেখি ঠ্যাং ঝুলছে। বিছানায় শুয়ে নির্মলবাবু। হাতে ফুলের বোকেটা দিতেই ছুড়ে ফেলেদিলেন
- শালা মাষ্টার..............
[ প্রিয় পাঠক, বিক্রমের এই কাহিনী ভালো লাগলে তা জানান। আপনাদের ফিডব্যাক পেলে পরবর্তী বিক্রমকাহিনী লিখব।
Email: subrata.mjder@gmail.com
অনেক জেরার পর মাষ্টারমশাই স্বীকার করেন যে তিনিই আসল অপরাধী। এই টিলার আশেপাশে অনেক হীরা কুড়িয়ে পাওয়া যায়। আর সেই হীরা চোরাচালানের জন্যেই এতসব কাণ্ড। তবে মুয়াদেবের কাহিনীতে কোনো ভেজাল নেই। আর তার প্রমাণ এই হলঘরের সর্বত্র বিরাজমান।
আমার ধারণা মুয়াদেবের আকাশযান যখন এখানে নামে তখন যে প্রচণ্ড তাপের সৃষ্টি হয় সেই তাপের প্রভাবেই প্রকৃতিজাত কার্বন হীরাতে রূপান্তরিত হয়। মাষ্টারমশায়ের স্বীকারোক্তি চলাকালীন দীনেশ হঠাৎ আক্রমণ করে বসে। নির্মলবাবু হকচকিয়ে গিয়ে গুলি ছোড়েন আর সেই গুলি আকাশযানের বিশেষ কোনো অংশে গিয়ে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় বিশাল গর্জনের সাথে সাথে কম্পন। আমরা সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা করতে থাকি। কিন্তু সেটা সহজ বলে মনে হচ্ছে না। সামনের মনিটরে বিচিত্র লিপি ফুটে উঠতে থাকে। টিলাটা গায়ের সমস্ত মাটি পাথর ঝেড়ে ফেলে বিচিত্র আকাশযানের রূপ নেয়। একটু একটু করে উপরের দিকে উঠতে থাকে। এমনসময় আমার নজরে পড়ে ছোট্ট একটা দরজা। EXIT Door !!
আমি, দেবলীনা ও নির্মলবাবু তিনজনের দৌড়ে যাই দরজার দিকে। তারপর দরজাখুলে দিই ঝাঁপ। যা থাকে কপালে।
তারপর আর কিছু মনে নেই। চোখ খুলতেই দেখি সাবডিভিশনাল হাসপাতালের বিশেষ কেবিনে শুয়ে। সামনে ডাক্তার ও প্রেমা। আমি উঠতে চাইলে ডাক্তার মানা করেন। প্রেমা জানায় যে দেবলীনা ও নির্মলবাবু এখন সুস্থ্য। আমার আর দেবলীনার তেমন কিছু না হলেও নির্মলবাবুর একটা হাঁটু ফ্র্যাকচার হয়েছে।
-"ঝাঁপ দেওয়ার পর আর কিছুই মনে নেই। কিভাবে সন্ধান পেলে আমাদের ?" আমি জানতে চাই।
প্রেমা জানায় যে একটা বটগাছের মগডালে আমরা আটকে ছিলাম। আমাদের অলক্ষ্যে আমাদের পোষাকে জিপিএস চিপ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল আর সেই চিপ ট্র্যাক করে আমাদের উদ্ধার করে কম্যাণ্ডো টিম। তবে দীনেশ বা মাষ্টারমশাই দুজনেই নিখোঁজ। সম্ভবত তারা আর ফিরবে না কোনোদিন। মুয়াদেবের সাথেই চলে গেছে তারা তারকাদের দেশ পেরিয়ে।
আমার দেওয়া তথ্যমতো টিলার আশেপাশে অনেক হীরা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ দেবলীনাকে সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম নির্মলবাবুর বাড়ি। দেখি ঠ্যাং ঝুলছে। বিছানায় শুয়ে নির্মলবাবু। হাতে ফুলের বোকেটা দিতেই ছুড়ে ফেলেদিলেন
- শালা মাষ্টার..............
[ প্রিয় পাঠক, বিক্রমের এই কাহিনী ভালো লাগলে তা জানান। আপনাদের ফিডব্যাক পেলে পরবর্তী বিক্রমকাহিনী লিখব।
Email: subrata.mjder@gmail.com
No comments:
Post a Comment