শালের বনে পাখির গানে
মত্ত মাতাল বাতাস হানে
বর্শা ভীষণ হায় !
জীর্ণ পাতা দুলিয়ে মাথা
মর্মরিয়ে জানায় ব্যাথা,
আজ সে ছুটি চায়।
গাছের কোলে কলরোলে
বুনো-টিয়া শাখায় দোলে
তর্ক জমায় ভারি ।
শালের তলে রাখাল ছেলে
ঝিমোয় বসে ছাগল ফেলে,
- খেয়ে তালের তাড়ি ।
জংলি মাছি যাচ্ছে নাচি
সুগন্ধে তার নাইকো রুচি
হোথায় পড়ে মরা বিড়ালছানা।
বনবিড়ালে ঐ আড়ালে
ঘুরছে পাখি ধরার তালে,
সঙ্গে দুটি ছানা।
এডাল হতে সেডাল হতে
ঝাঁপ দিচ্ছে কাঁড়সাপেতে
ধরতে টিয়ার ঝাঁক।
তন্দ্রা আসে নেশার বশে
রাখাল শুয়ে খুব আয়েশে
ডাকায় জোরে নাক।
ছাগলগুলি আওয়াজ তুলি
দূরের দিকে যাচ্ছে চলি
ধরে বনের পথ।
সূয্যি মামা সোনার জামা
চড়িয়ে গায়ে দিচ্ছে হামা,
ঐ যে স্বর্ণরথ।
বালিহাঁসে দূর আকাশে
কলকলিয়ে উর্ধ্বশ্বাসে
ছুটছে দলে দলে।
কঠবেড়ালী পুচ্ছতুলি
পাত-বাদামে পড়ছে ঢলি
কেবল খেলার ছলে।
বন-শুয়োরে আসছে তেড়ে
উর্ধ্বশ্বাসে রাখাল দৌড়ে
টুটল নেশার ঝোঁক;
মচমচিয়ে মর্মরিয়ে
শালের পাতা দেয় মাড়িয়ে
এমন কঠিন রোখ, - -
মর্মধ্বনি ঐ তো শুনি
শালের পাতার মচমচানি
যেন করুন গীত।
মাঘের শীতে আচম্বিতে
এ যেন রে ধানভানিতে
গাওয়া শিবের গীত।
নড়ছে পাতা পড়ছে পাতা
বায়ুর ভারে ঝড়ছে পাতা,
মর্মব্যাথা শুনি।
শালের পাতার করুন ব্যাথার
উৎস ফুঁড়ে কথকতার
উঠছে করুণ ধ্বনি।।
মত্ত মাতাল বাতাস হানে
বর্শা ভীষণ হায় !
জীর্ণ পাতা দুলিয়ে মাথা
মর্মরিয়ে জানায় ব্যাথা,
আজ সে ছুটি চায়।
গাছের কোলে কলরোলে
বুনো-টিয়া শাখায় দোলে
তর্ক জমায় ভারি ।
শালের তলে রাখাল ছেলে
ঝিমোয় বসে ছাগল ফেলে,
- খেয়ে তালের তাড়ি ।
জংলি মাছি যাচ্ছে নাচি
সুগন্ধে তার নাইকো রুচি
হোথায় পড়ে মরা বিড়ালছানা।
বনবিড়ালে ঐ আড়ালে
ঘুরছে পাখি ধরার তালে,
সঙ্গে দুটি ছানা।
এডাল হতে সেডাল হতে
ঝাঁপ দিচ্ছে কাঁড়সাপেতে
ধরতে টিয়ার ঝাঁক।
তন্দ্রা আসে নেশার বশে
রাখাল শুয়ে খুব আয়েশে
ডাকায় জোরে নাক।
ছাগলগুলি আওয়াজ তুলি
দূরের দিকে যাচ্ছে চলি
ধরে বনের পথ।
সূয্যি মামা সোনার জামা
চড়িয়ে গায়ে দিচ্ছে হামা,
ঐ যে স্বর্ণরথ।
বালিহাঁসে দূর আকাশে
কলকলিয়ে উর্ধ্বশ্বাসে
ছুটছে দলে দলে।
কঠবেড়ালী পুচ্ছতুলি
পাত-বাদামে পড়ছে ঢলি
কেবল খেলার ছলে।
বন-শুয়োরে আসছে তেড়ে
উর্ধ্বশ্বাসে রাখাল দৌড়ে
টুটল নেশার ঝোঁক;
মচমচিয়ে মর্মরিয়ে
শালের পাতা দেয় মাড়িয়ে
এমন কঠিন রোখ, - -
মর্মধ্বনি ঐ তো শুনি
শালের পাতার মচমচানি
যেন করুন গীত।
মাঘের শীতে আচম্বিতে
এ যেন রে ধানভানিতে
গাওয়া শিবের গীত।
নড়ছে পাতা পড়ছে পাতা
বায়ুর ভারে ঝড়ছে পাতা,
মর্মব্যাথা শুনি।
শালের পাতার করুন ব্যাথার
উৎস ফুঁড়ে কথকতার
উঠছে করুণ ধ্বনি।।
No comments:
Post a Comment