সন্ধ্যা সাতটা। বিক্রম তার প্রিয় আরামকেদারায় বসে বসে আকাশ পাতাল ভাবছে। ইদানিং কাজ হাতে না থাকায় হাতখরচের বড্ড টান পড়েছে। বাড়ির কাজের লোক কাম কেয়ারটেকার মাধবদা সকাল বেলায় বিক্রমকে আশ্বাস দিয়েছে কিছু সাহায্য করার।
- "তা দাদাবাবু আমি শ'আষ্টেক দিতে পারি। না করবেন না।" একগাল কৃতজ্ঞতা ভরা হাঁসি হাঁসে মাধবদা।
টাকার অভাব বিক্রমের নেই। কিন্তু অনেক দোষের মধ্যে বিক্রমের ঐ এক দোষ - - বড্ড কৃপণ। আজ পর্যন্ত ক্রেডিট ভিন্ন ডেবিট হয়নি বিক্রমের অ্যাকাউন্ট হতে। হঠাৎ করে মোবাইলের আওয়াজে বিক্রমের চিন্তাসূত্রে ছেদ পড়ল। মোবাইল তুলে নিল বিক্রম। ওপাশ হতে চাপা আর অস্পষ্ট একটা মেয়েলি স্বর ভেঁসে এল।
- আমি কি বিক্রমবাবুর সাথে কথা বলছি !
- হ্যাঁ, আপনি ?
- আমি কে তা না জানলেও চলবে। আমার কথাগুলো মনদিয়ে শুনুন। আপনার হাত খরচের টাকার টান পড়েছে তাই না !
- "হ্যাঁ, কিন্তু সেটা তো আপনার জানার কথা নয়। দুজন মাত্র একথা জানে, এক আমি আর অন্যজন মাধবদা। আমি নিশ্চিত মাধবদা ঘরের কোন কথা বাইরে বলবে না।" বিক্রম হতবাক হয়ে যায়।
- কিভাবে জানলাম সেটা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ কি ! বরং শুনুন মনদিয়ে। আপনার বাগানের যে দেশী গোলাপের ঝোঁপটা আছে সেখানে যান। ওখানেই পাবেন একটা ব্যাগ। আর ঐ ব্যাগের ভেতর আপনার ফিজ-- পুরো বিশ হাজার টাকা। ঈশানপুর রায়ভিলা। মনে রাখবেন ঈশানপুর রায়ভিলা। কেসের ডিটেইল ওখানেই পাবেন।
ফোনটা ওপার হতে কেটে দেওয়া হল। বিক্রম দরজা খুলে বাগানে এলো। ছোট্ট বাগান। থরে থরে বেশ পরিপাটি করে লাগানো দেশী বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের গাছ। রক্তগাঁদার সারির পাশেই ডালিয়ার মনোমুগ্ধকর সমাবেশ। এরপরে একটা পাতিলেবুর গাছ ফলের ভারে নুইয়ে পড়েছে। পাতিলেবুর গাছের পাশেই দেশী গোলাপের ঝোঁপটা। লাল আর গোলাপী দুই ধরনের গোলাপের গাছকে একসাথে লাগানো হয়েছে। দুই হতে আড়াই ফুট উচ্চতার ঝোঁপে প্রায় শতাধিক গোলাপ ফুটে আছে। গোলাপের ঝোঁপের নীচেই একখানা ছেঁড়া লেডিস ব্যাগ। বিক্রম ব্যাগটাকে তুলে নিল। ব্যাগের চেনটা কাটা। আর ভিতর থেকে উঁকি মারছে গোলাপী রঙের নোটের গুচ্ছ। গুনে দেখল বিক্রম - - পুরো দশটা।
- -দুই - -
পরদিন খুব ভোর ভোর বেরিয়ে পড়ল বিক্রম। দেবলীনাকে খবর দেওয়া হয়ে গেছে। একদম ঈশানপুরেই দেখা হবে তাদের।
ঈশানপুর একটা মফস্বল শহর। রেল আর বাসের যোগাযোগের সুবিধার জন্যে রাইস মিল আর তেল মিলের মতো শিল্পের প্রাচুর্য্য এখানে দেখা যায়। ঈশানপুর রেলস্টেশনেই বিক্রম আর দেবলীনার দেখা হল।
- চল, দেখি কি রহস্যের জালবুনে রেখেছেন শ্রীমতী অন্তরবাসিনী।
- " অন্তরবাসিনী ! বেশ বলেছ তো। অন্তরবাসিনী !!" দেবলীনার হাঁসি আর থামতে চায় না।
বিক্রম আর দেবলীনা হাঁটতে হাঁটতে স্টেশনের বাইরে চায়ের দোকানে আসে।
-" দাদা, বেশ কড়া করে দুটো চা দেবেন তো। আর বিস্কুট ফিস্কুট কিছু থাকলে..." বিক্রম দোকানের বেঞ্চে বসে পড়ে। দেবলীনা দাঁড়িয়েই থাকে। ইতিমধ্যে চাওয়ালা কাগজের কাপে করে দুটো দুধ-চা আর একখানা করে দেশী বাদাম বিস্কুট ধরিয়ে দিয়ে যায়।
-" রায়ভিলাটা কোনদিকে বলতে পারবেন দাদা। " চায়ে চুমুক দিতে দিতে বিক্রম চাওয়ালাকে জিজ্ঞাসা করে।
- রায়ভিলা, সে তো এই পাকা রাস্তাটা দিয়ে সোজা গিয়ে গার্লস স্কুলের কাছে। বাবুরা কি উনাদের কুটুম ?
- না, ঠিক কুটুম নই। আসলে রায়বাড়ির দিদিমণি আছেন না, আমরা তারই পরিচিত। বন্ধুবান্ধবও বলতে পারেন।
- ছোট মুখে বড় কথা বাবু, ঐ বাড়িতে আপনাদের না যাওয়াই ভালো। বাড়িটা ভালো নয়। " চাওয়ালা বিক্রমের খুব কাছে এসে মৃদুস্বরে কথাগুলো বলে।
-" মানে ? ইঁদুর ছুঁচোর খুব উৎপাত নাকি ওখানে ! " দেবলীনা চায়ের কাপটা ভাঙা প্লাস্টিকের বালতি দিয়ে তৈরি বিন-এ ফেলাতে ফেলতে প্রশ্ন করে।
- কি যে বলেন মেমসাহেব, আপনারা বড় শহরের মানুষ ওসব বিশ্বাস করেন না। অপদেবতা মেমসাহেব, অপদেবতা। রায়বাবু মারা যাওয়ার পর ঐ বাড়িতে দক্ষযজ্ঞ চলছে।
-" ঠিক কি হয় আপনি জানেন ?" বিক্রম চাওয়ালার দিকে প্রশ্নটা ছুড়ে দেয়।
- "রায়বাবুর ভূত। অনেকেই দেখেছে। সন্ধ্যার পর যারা ঐ বাড়ির আশেপাশে যায় তাদের উনি দেখা দেন। এই তো তিনদিন আগে রায়বাড়ির কাজের মেয়েটা চায়ের বাসন ধুতে কুয়োতলায় গিয়েছিল। তারপর হতে তার মাথা খারাপ। ঐ প্রেত যে দেখে তার মাথা খারাপ হয়ে যায় বাবু। আপনাদের না যাওয়াই ভালো। " চাওয়ালাকে ভীত সন্ত্রস্ত দেখায়।
-" আমরা ভূতের ডাক্তার। আমাদের কিছু করার সাধ্য তোমার ঐ প্রেতের নেই। " বিক্রম চায়ের দাম মেটাতে মেটাতে বলে। এরপর একটা টোটোয় চড়ে বসে দুজনে।
-" আমার সারা জীবনে এমন ভূতের কথা শুনিনি। হেভি মিস্ট্রিয়াস। " দেবলীনা বলে ওঠে।
-" সেটা রায়ভিলাতে না গেলে বোঝা যাবে না। রায়বাবুর ভূত মানুষকে পাগল করে দেয়, আবার সেই ভূত ধরতে কোন আজ্ঞাতপরিচয় মহিলা গোয়েন্দা নিয়োগ করেন। মোটা অঙ্কের ফিজ তাও আবার অ্যাডভান্স। দেবলীনা, এবার আমার পাগল হওয়ার পালা। আচ্ছা রাঁচির পাগলাগারদটা কি এখনো গুড কণ্ডিশনে আছে....? " বিক্রম হেঁসে ওঠে, দেবলীনাও বিক্রমের সাথে যোগ দেয়।
টোটোওয়ালা তার আরোহীদুজনকে রায়ভিলার অনেকটা আগেই ছেড়ে দেয়। স্ত্রী সন্তান নিয়ে সংসার তার, এই টোটো চালিয়েই সংসার চলে। বেমক্কা পাগল হওয়ার ইচ্ছা তার নেই। অগত্যা ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে হাঁটা শুরু করে বিক্রম ও দেবলীনা। কিছুটা হাঁটার পরই নজরে পড়ে ঈশাপুর মহেন্দ্র রায় বালিকা বিদ্যালয়। ঠিক তার পাশেই প্রাসাদোপম একটা বাড়ি। বাড়ির সিংহদরজাটায় ব্রিটিশ আমলের ছাপ স্পষ্ট। দুই দিকে দুটো সিংহ পরস্পরের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্যত, আর মাঝখানে রোমান স্টাইলের রিবনের উপর লেখা - 'রায়ভিলা' ।
বাড়ির দরজার কাছাকাছি আসতেই একটা মেয়ে ওদেরকে প্রায় ধাক্কা দিয়ে চলে গেল। মেয়েটার পরনে আটপৌরে কাপড়, উস্কোখুস্কো চুল আর সিঁদুরের টিপটা থেবড়ে গিয়ে গোটা কপালময় হয়ে গেছে।
" মরবি মরবি ! কেউ বাঁচবি না। এ ঘরের ইঁটে ইঁটে পাপ। মরবি মরবি...." মেয়েটা চিৎকার করতে করতে চলে গেল। দেবলীনা ভয়ে বিক্রমকে জড়িয়ে ধরল। বিক্রম এবার না হেঁসে পারল না।
- "তা দাদাবাবু আমি শ'আষ্টেক দিতে পারি। না করবেন না।" একগাল কৃতজ্ঞতা ভরা হাঁসি হাঁসে মাধবদা।
টাকার অভাব বিক্রমের নেই। কিন্তু অনেক দোষের মধ্যে বিক্রমের ঐ এক দোষ - - বড্ড কৃপণ। আজ পর্যন্ত ক্রেডিট ভিন্ন ডেবিট হয়নি বিক্রমের অ্যাকাউন্ট হতে। হঠাৎ করে মোবাইলের আওয়াজে বিক্রমের চিন্তাসূত্রে ছেদ পড়ল। মোবাইল তুলে নিল বিক্রম। ওপাশ হতে চাপা আর অস্পষ্ট একটা মেয়েলি স্বর ভেঁসে এল।
- আমি কি বিক্রমবাবুর সাথে কথা বলছি !
- হ্যাঁ, আপনি ?
- আমি কে তা না জানলেও চলবে। আমার কথাগুলো মনদিয়ে শুনুন। আপনার হাত খরচের টাকার টান পড়েছে তাই না !
- "হ্যাঁ, কিন্তু সেটা তো আপনার জানার কথা নয়। দুজন মাত্র একথা জানে, এক আমি আর অন্যজন মাধবদা। আমি নিশ্চিত মাধবদা ঘরের কোন কথা বাইরে বলবে না।" বিক্রম হতবাক হয়ে যায়।
- কিভাবে জানলাম সেটা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ কি ! বরং শুনুন মনদিয়ে। আপনার বাগানের যে দেশী গোলাপের ঝোঁপটা আছে সেখানে যান। ওখানেই পাবেন একটা ব্যাগ। আর ঐ ব্যাগের ভেতর আপনার ফিজ-- পুরো বিশ হাজার টাকা। ঈশানপুর রায়ভিলা। মনে রাখবেন ঈশানপুর রায়ভিলা। কেসের ডিটেইল ওখানেই পাবেন।
ফোনটা ওপার হতে কেটে দেওয়া হল। বিক্রম দরজা খুলে বাগানে এলো। ছোট্ট বাগান। থরে থরে বেশ পরিপাটি করে লাগানো দেশী বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের গাছ। রক্তগাঁদার সারির পাশেই ডালিয়ার মনোমুগ্ধকর সমাবেশ। এরপরে একটা পাতিলেবুর গাছ ফলের ভারে নুইয়ে পড়েছে। পাতিলেবুর গাছের পাশেই দেশী গোলাপের ঝোঁপটা। লাল আর গোলাপী দুই ধরনের গোলাপের গাছকে একসাথে লাগানো হয়েছে। দুই হতে আড়াই ফুট উচ্চতার ঝোঁপে প্রায় শতাধিক গোলাপ ফুটে আছে। গোলাপের ঝোঁপের নীচেই একখানা ছেঁড়া লেডিস ব্যাগ। বিক্রম ব্যাগটাকে তুলে নিল। ব্যাগের চেনটা কাটা। আর ভিতর থেকে উঁকি মারছে গোলাপী রঙের নোটের গুচ্ছ। গুনে দেখল বিক্রম - - পুরো দশটা।
- -দুই - -
পরদিন খুব ভোর ভোর বেরিয়ে পড়ল বিক্রম। দেবলীনাকে খবর দেওয়া হয়ে গেছে। একদম ঈশানপুরেই দেখা হবে তাদের।
ঈশানপুর একটা মফস্বল শহর। রেল আর বাসের যোগাযোগের সুবিধার জন্যে রাইস মিল আর তেল মিলের মতো শিল্পের প্রাচুর্য্য এখানে দেখা যায়। ঈশানপুর রেলস্টেশনেই বিক্রম আর দেবলীনার দেখা হল।
- চল, দেখি কি রহস্যের জালবুনে রেখেছেন শ্রীমতী অন্তরবাসিনী।
- " অন্তরবাসিনী ! বেশ বলেছ তো। অন্তরবাসিনী !!" দেবলীনার হাঁসি আর থামতে চায় না।
বিক্রম আর দেবলীনা হাঁটতে হাঁটতে স্টেশনের বাইরে চায়ের দোকানে আসে।
-" দাদা, বেশ কড়া করে দুটো চা দেবেন তো। আর বিস্কুট ফিস্কুট কিছু থাকলে..." বিক্রম দোকানের বেঞ্চে বসে পড়ে। দেবলীনা দাঁড়িয়েই থাকে। ইতিমধ্যে চাওয়ালা কাগজের কাপে করে দুটো দুধ-চা আর একখানা করে দেশী বাদাম বিস্কুট ধরিয়ে দিয়ে যায়।
-" রায়ভিলাটা কোনদিকে বলতে পারবেন দাদা। " চায়ে চুমুক দিতে দিতে বিক্রম চাওয়ালাকে জিজ্ঞাসা করে।
- রায়ভিলা, সে তো এই পাকা রাস্তাটা দিয়ে সোজা গিয়ে গার্লস স্কুলের কাছে। বাবুরা কি উনাদের কুটুম ?
- না, ঠিক কুটুম নই। আসলে রায়বাড়ির দিদিমণি আছেন না, আমরা তারই পরিচিত। বন্ধুবান্ধবও বলতে পারেন।
- ছোট মুখে বড় কথা বাবু, ঐ বাড়িতে আপনাদের না যাওয়াই ভালো। বাড়িটা ভালো নয়। " চাওয়ালা বিক্রমের খুব কাছে এসে মৃদুস্বরে কথাগুলো বলে।
-" মানে ? ইঁদুর ছুঁচোর খুব উৎপাত নাকি ওখানে ! " দেবলীনা চায়ের কাপটা ভাঙা প্লাস্টিকের বালতি দিয়ে তৈরি বিন-এ ফেলাতে ফেলতে প্রশ্ন করে।
- কি যে বলেন মেমসাহেব, আপনারা বড় শহরের মানুষ ওসব বিশ্বাস করেন না। অপদেবতা মেমসাহেব, অপদেবতা। রায়বাবু মারা যাওয়ার পর ঐ বাড়িতে দক্ষযজ্ঞ চলছে।
-" ঠিক কি হয় আপনি জানেন ?" বিক্রম চাওয়ালার দিকে প্রশ্নটা ছুড়ে দেয়।
- "রায়বাবুর ভূত। অনেকেই দেখেছে। সন্ধ্যার পর যারা ঐ বাড়ির আশেপাশে যায় তাদের উনি দেখা দেন। এই তো তিনদিন আগে রায়বাড়ির কাজের মেয়েটা চায়ের বাসন ধুতে কুয়োতলায় গিয়েছিল। তারপর হতে তার মাথা খারাপ। ঐ প্রেত যে দেখে তার মাথা খারাপ হয়ে যায় বাবু। আপনাদের না যাওয়াই ভালো। " চাওয়ালাকে ভীত সন্ত্রস্ত দেখায়।
-" আমরা ভূতের ডাক্তার। আমাদের কিছু করার সাধ্য তোমার ঐ প্রেতের নেই। " বিক্রম চায়ের দাম মেটাতে মেটাতে বলে। এরপর একটা টোটোয় চড়ে বসে দুজনে।
-" আমার সারা জীবনে এমন ভূতের কথা শুনিনি। হেভি মিস্ট্রিয়াস। " দেবলীনা বলে ওঠে।
-" সেটা রায়ভিলাতে না গেলে বোঝা যাবে না। রায়বাবুর ভূত মানুষকে পাগল করে দেয়, আবার সেই ভূত ধরতে কোন আজ্ঞাতপরিচয় মহিলা গোয়েন্দা নিয়োগ করেন। মোটা অঙ্কের ফিজ তাও আবার অ্যাডভান্স। দেবলীনা, এবার আমার পাগল হওয়ার পালা। আচ্ছা রাঁচির পাগলাগারদটা কি এখনো গুড কণ্ডিশনে আছে....? " বিক্রম হেঁসে ওঠে, দেবলীনাও বিক্রমের সাথে যোগ দেয়।
টোটোওয়ালা তার আরোহীদুজনকে রায়ভিলার অনেকটা আগেই ছেড়ে দেয়। স্ত্রী সন্তান নিয়ে সংসার তার, এই টোটো চালিয়েই সংসার চলে। বেমক্কা পাগল হওয়ার ইচ্ছা তার নেই। অগত্যা ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে হাঁটা শুরু করে বিক্রম ও দেবলীনা। কিছুটা হাঁটার পরই নজরে পড়ে ঈশাপুর মহেন্দ্র রায় বালিকা বিদ্যালয়। ঠিক তার পাশেই প্রাসাদোপম একটা বাড়ি। বাড়ির সিংহদরজাটায় ব্রিটিশ আমলের ছাপ স্পষ্ট। দুই দিকে দুটো সিংহ পরস্পরের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্যত, আর মাঝখানে রোমান স্টাইলের রিবনের উপর লেখা - 'রায়ভিলা' ।
বাড়ির দরজার কাছাকাছি আসতেই একটা মেয়ে ওদেরকে প্রায় ধাক্কা দিয়ে চলে গেল। মেয়েটার পরনে আটপৌরে কাপড়, উস্কোখুস্কো চুল আর সিঁদুরের টিপটা থেবড়ে গিয়ে গোটা কপালময় হয়ে গেছে।
" মরবি মরবি ! কেউ বাঁচবি না। এ ঘরের ইঁটে ইঁটে পাপ। মরবি মরবি...." মেয়েটা চিৎকার করতে করতে চলে গেল। দেবলীনা ভয়ে বিক্রমকে জড়িয়ে ধরল। বিক্রম এবার না হেঁসে পারল না।
No comments:
Post a Comment