অজ উবাচ
নিন্দুকেরা আমাদের নামে যাই বলুক আমরা যা তা বলি এমন অপবাদ দেবার সাধ্য কারোর নেই। অবশ্য খাবার ব্যাপারে আমাদের অতটা রক্ষণশীলতা নেই। আর শীল রক্ষণের দায় দায়িত্বও আমাদের নেই। তবে বাছা নরপুঙ্গব আমাদের আচার ব্যবহার অনুকরণের অনুরোধ কে তোমাকে করেছে ? আমরা তোমাদের শুকোতে দেওয়া আচার মাঝেমধ্যে খাই বটে কিন্তু আমাদের আচার অতটা ভদ্রজনসুলভ নয়।
পূর্বেই বলেছি আমরা কথা বলি কম। কেবলমাত্র ইংরেজীর পঞ্চমমাস আর হিন্দুস্থানির অহমবোধক শব্দই আমাদের ইষ্টমন্ত্র। তবে আজকের ব্যাপারটা ভিন্ন। আজ সকালে উঠেই পেটের ছুঁচোগুলো শরীরচর্চায় মনোনিবেশ করেছে। তাদের জন্য বাদাম পেস্তা পাই কোথা ? যে খায় চিনি তাকে যোগান চিন্তামণি। দেখি চিন্তামণির চরণ চিন্তা করতে করতে সাধুবাবা আশ্রমের দিকে যাচ্ছেন। তারই সঙ্গ নিলাম। কথায় বলে সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস। পৌঁছে গেলাম সাধুবাবার আশ্রমে। আহা ! আশ্রমের সামনেই কি সুন্দর নরম পেলব গাছ। খেলাম পেট ভরে। তখন কি জানতাম ঐ সব রম্যানি বৃক্ষানি আসলে গঞ্জীকা বৃক্ষ। ক্যানাবিস। কেনা বিষও বলতে পারেন, - যদিও কেনার সাধ্য বা ইচ্ছা কোনোটাই আমার ছিল না। কেনা বিষের বিষক্রিয়া শুরু হতেই আমি উর্ধপদ হলাম। বাবাজী কোন ঈশ্বরীয় তত্ত্ব আমার মধ্যে পেলেন জানি না আমার সামনে নতজানু হয়ে বসে পড়লেন। তারপর আমার শৃঙ্গাঘাতে স্থানচ্যূত হতেই আমার উদ্দেশ্যে বাছা বাছা বাক্যবাণ প্রয়োগ করলেন। পরে যষ্ঠি হাতে তাড়া করতেই পিতৃদত্ত প্রাণ রক্ষায় সচেষ্ট হলাম।
আপনারা যাই বলুন না কেন এ জীবনে ঘেন্না ধরে গেছে দাদা। খুঁত থাকলে দেবতারা অপ্রসন্ন আবার খুঁত না থাকলে মানুষেরা অপ্রসন্ন। আমরা যাই কোথায় বলুন তো ? কারোর ছেলে পাড়াময় টো টো করে বেড়ালে তার দোষও পড়ে আমাদের উপরে। সবার মুখেই এক কথা, - দেখো অমুকের ছেলেটা 'ছাড়া পাঁঠা' র মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। আবার কেউ মূর্খামি করলে 'বোকা পাঁঠা' বলতে আপনারা বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেন না। বিশ্বকবি একবার আমাদের পক্ষাবলম্বন করেছিলেন। তিনি বিশুপাগলকে দিয়ে বলিয়েছিলেন যে আস্ত হয়ে থাকাটা আমাদের পাঁঠাদের জন্যেই আবশ্যক। যারা খায় তারা হাড় গোড় খুর লেজ বাদ দিয়েই খায়। কিন্তু আপনারা রবিবাবুরও মান রাখলেন না ! আজকাল হাড় গোড় তো কোন ছার নাড়ি ভুঁড়িরও উপাদেয় পদ বানিয়ে দিচ্ছেন আপনারা !!
অনেকেই ইঁচড়কে গাছ পাঁঠা বলে ডাকেন, এতে আমাদের কোন মান অভিমান নেই। কিন্তু আমাদের দাড়ি নিয়ে এত রসিকতা কেন ? ছাগীদের যদি দাড়ি গজায় তবে তাতে কি মহাভারত অশুদ্ধ হল ? আপনাদের স্ত্রীজাতি যখন প্যান্ট কোট পড়েন তখন তো কই আমরা তা নিয়ে ছাগসমাজে রঙ্গরসিকতা করি না। তবে জামা প্যান্ট চিবোতে আমার ভালোই লাগে। একবার এক শহরের বাবু আমাদের গ্রামে এসেছিল। গ্রামের সবাই তাকে কত আদর যত্ন করলে। খাওয়া দাওয়ার পর সেই বাবু যখন মাদুরে শুয়ে নাক ডাকছিল তখন আমার খেয়াল হল বাবুকে একবার হাই হ্যালো বলে আসি। ধীর পায়ে গেলাম। শুঁকে শুঁকে দেখলাম। আহা, কি কলাপাতা কলাপাতা সুগন্ধ ! দিলাম বুক পকেটটা চিবিয়ে। লাল বেগুনি কাগজের সাথে একটা চারকোনা শক্ত কাগজও ছিল। খুবই সুস্বাদু।
ছাগল হলেও দাদা কৌতুহল তো আছে। গেলাম সুব্রত ভায়ার কাছে। বললাম - জামাকাপড় কি আজকাল কলার পাতা ছেঁচে তৈরি হচ্ছে, - নইলে জামাতে কলাপাতার গন্ধ কেন ? ব্যাটা বামুনের মুখ্যু কি বলল জানেন, বাবুটি নাকি কলাপাতা মোড়া মাছের পাতুরি খেয়েছেন। বোঝ কাণ্ড !!!
নিন্দুকেরা আমাদের নামে যাই বলুক আমরা যা তা বলি এমন অপবাদ দেবার সাধ্য কারোর নেই। অবশ্য খাবার ব্যাপারে আমাদের অতটা রক্ষণশীলতা নেই। আর শীল রক্ষণের দায় দায়িত্বও আমাদের নেই। তবে বাছা নরপুঙ্গব আমাদের আচার ব্যবহার অনুকরণের অনুরোধ কে তোমাকে করেছে ? আমরা তোমাদের শুকোতে দেওয়া আচার মাঝেমধ্যে খাই বটে কিন্তু আমাদের আচার অতটা ভদ্রজনসুলভ নয়।
পূর্বেই বলেছি আমরা কথা বলি কম। কেবলমাত্র ইংরেজীর পঞ্চমমাস আর হিন্দুস্থানির অহমবোধক শব্দই আমাদের ইষ্টমন্ত্র। তবে আজকের ব্যাপারটা ভিন্ন। আজ সকালে উঠেই পেটের ছুঁচোগুলো শরীরচর্চায় মনোনিবেশ করেছে। তাদের জন্য বাদাম পেস্তা পাই কোথা ? যে খায় চিনি তাকে যোগান চিন্তামণি। দেখি চিন্তামণির চরণ চিন্তা করতে করতে সাধুবাবা আশ্রমের দিকে যাচ্ছেন। তারই সঙ্গ নিলাম। কথায় বলে সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস। পৌঁছে গেলাম সাধুবাবার আশ্রমে। আহা ! আশ্রমের সামনেই কি সুন্দর নরম পেলব গাছ। খেলাম পেট ভরে। তখন কি জানতাম ঐ সব রম্যানি বৃক্ষানি আসলে গঞ্জীকা বৃক্ষ। ক্যানাবিস। কেনা বিষও বলতে পারেন, - যদিও কেনার সাধ্য বা ইচ্ছা কোনোটাই আমার ছিল না। কেনা বিষের বিষক্রিয়া শুরু হতেই আমি উর্ধপদ হলাম। বাবাজী কোন ঈশ্বরীয় তত্ত্ব আমার মধ্যে পেলেন জানি না আমার সামনে নতজানু হয়ে বসে পড়লেন। তারপর আমার শৃঙ্গাঘাতে স্থানচ্যূত হতেই আমার উদ্দেশ্যে বাছা বাছা বাক্যবাণ প্রয়োগ করলেন। পরে যষ্ঠি হাতে তাড়া করতেই পিতৃদত্ত প্রাণ রক্ষায় সচেষ্ট হলাম।
আপনারা যাই বলুন না কেন এ জীবনে ঘেন্না ধরে গেছে দাদা। খুঁত থাকলে দেবতারা অপ্রসন্ন আবার খুঁত না থাকলে মানুষেরা অপ্রসন্ন। আমরা যাই কোথায় বলুন তো ? কারোর ছেলে পাড়াময় টো টো করে বেড়ালে তার দোষও পড়ে আমাদের উপরে। সবার মুখেই এক কথা, - দেখো অমুকের ছেলেটা 'ছাড়া পাঁঠা' র মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। আবার কেউ মূর্খামি করলে 'বোকা পাঁঠা' বলতে আপনারা বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেন না। বিশ্বকবি একবার আমাদের পক্ষাবলম্বন করেছিলেন। তিনি বিশুপাগলকে দিয়ে বলিয়েছিলেন যে আস্ত হয়ে থাকাটা আমাদের পাঁঠাদের জন্যেই আবশ্যক। যারা খায় তারা হাড় গোড় খুর লেজ বাদ দিয়েই খায়। কিন্তু আপনারা রবিবাবুরও মান রাখলেন না ! আজকাল হাড় গোড় তো কোন ছার নাড়ি ভুঁড়িরও উপাদেয় পদ বানিয়ে দিচ্ছেন আপনারা !!
অনেকেই ইঁচড়কে গাছ পাঁঠা বলে ডাকেন, এতে আমাদের কোন মান অভিমান নেই। কিন্তু আমাদের দাড়ি নিয়ে এত রসিকতা কেন ? ছাগীদের যদি দাড়ি গজায় তবে তাতে কি মহাভারত অশুদ্ধ হল ? আপনাদের স্ত্রীজাতি যখন প্যান্ট কোট পড়েন তখন তো কই আমরা তা নিয়ে ছাগসমাজে রঙ্গরসিকতা করি না। তবে জামা প্যান্ট চিবোতে আমার ভালোই লাগে। একবার এক শহরের বাবু আমাদের গ্রামে এসেছিল। গ্রামের সবাই তাকে কত আদর যত্ন করলে। খাওয়া দাওয়ার পর সেই বাবু যখন মাদুরে শুয়ে নাক ডাকছিল তখন আমার খেয়াল হল বাবুকে একবার হাই হ্যালো বলে আসি। ধীর পায়ে গেলাম। শুঁকে শুঁকে দেখলাম। আহা, কি কলাপাতা কলাপাতা সুগন্ধ ! দিলাম বুক পকেটটা চিবিয়ে। লাল বেগুনি কাগজের সাথে একটা চারকোনা শক্ত কাগজও ছিল। খুবই সুস্বাদু।
ছাগল হলেও দাদা কৌতুহল তো আছে। গেলাম সুব্রত ভায়ার কাছে। বললাম - জামাকাপড় কি আজকাল কলার পাতা ছেঁচে তৈরি হচ্ছে, - নইলে জামাতে কলাপাতার গন্ধ কেন ? ব্যাটা বামুনের মুখ্যু কি বলল জানেন, বাবুটি নাকি কলাপাতা মোড়া মাছের পাতুরি খেয়েছেন। বোঝ কাণ্ড !!!
No comments:
Post a Comment