শশাঙ্ক জোর করে দোতলায় উঠে গেল। কিছুক্ষণ পর যখন নিচে নেমে এল তখন তার চোখেমুখে একটা আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। দরজার সামনেই বিক্রমকে দেখে শশাঙ্ক সন্দেহ দৃষ্টিতে তাকাল। বিক্রম হাঁসিমুখে এগিয়ে এল শশাঙ্কের কাছে। " আমি যদি খুব ভুল না করি তাহলে আপনিই শশাঙ্ক শেখর রায়।"
" হ্যাঁ, কিন্তু আপনি ? আপনাকে তো ঠিক চিনলাম না !" শশাঙ্ক উত্তর দেয়।
বিক্রম হাতজোড় করে প্রণামের ভঙ্গিতে বলেন, " আমি প্রাইভেট ডিটেকটিভ বিক্রম মুখোপাধ্যায়। আপনার জনৈকা শুভাকাঙ্খী আমাকে অ্যাপোয়েণ্ট করেছেন। উদ্দেশ্য কি তা ডিটেইলসে জানি না, তবে তিনি যে আপনাকে বাঁচাতে চান তা পরিস্কার। "
শশাঙ্কবাবুর মুখে হারানো দীপ্তি আবার ফিরে আসে। " যদি তাই হয় তাহলে আপনাকে আমার কিছু বলার আছে। কিন্তু উনি কে ? " শশাঙ্ক দেবলীনার দিকে তাকায়।
বিক্রম শশাঙ্ককে আশ্বস্ত করে," আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট, দেবলীনা। আপনি ওর সামনেই সবকিছু বলতে পারেন। "
শশাঙ্ক বিক্রমকে নিয়ে গাড়ির ভেতরে যায়। দেবলীনা, শশাঙ্ক আর বিক্রম গাড়িতে করে বেরিয়ে পড়ে । গাড়িটা কিছুদূর এগোতেই নজরে পড়ে একটা মিছিল। একদল লোক আবিরে রাঙা হয়ে গান গাইতে গাইতে আসছে। কাজের চাপে খেয়ালই ছিল না যে আজ হোলি। দেবলীনার ইশারায় গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। বিক্রম আর দেবলীনা নেমে পড়ে। তারা মিশে যায় ঐ ভিড়ের মধ্যে। উড়তে থাকে আবির। বিক্রম গান ধরে -
আজ ফাগুন হাওয়ায় উড়িয়ে দাও
ব্যর্থ প্রাণের যত আবর্জনা
আজ নতুন আলোয় ধুইয়ে দাও
কঠোর প্রাণের যত নিষেধ যত প্রবঞ্চনা।
ঐ দিকে দিকে পলাশ হাঁসে
(তার ) আগুন রঙে ফাগুন আসে
আমের বোলে ভ্রমর বসে
- মেলে নবীন ডানা।
ভোরের রবি আবির মেখে
দ্বারে দ্বারে যায় গো ডেকে,
কার কপালে তিলক আঁকে
প্রজাপতির ডানা।
আজ শিমূলবনে পাগলা হাওয়া
করে কেবল আসা যাওয়া,
(তার) নদীর জলে উজান বাওয়া,
ঘুচিয়ে নিষেধ-মানা ।
হোলির দল গেয়ে ওঠে,
হোলি হ্যায় হোলি হ্যায়....
বৃন্দাবনমে হোরি খেলে রাধা প্যারী
আবিরে আবিরে রাঙা হল অঙ্গ ভিজিল নীল শাড়ি।
হাতে পিচকারি চলে গোপনারী
কালো তমালে লুকাইল হরি,
আহিড়িনী রোষে টানে পীত শাড়ি,
বসন ধরে কানা কাঁপে থরথরি।
সাত রঙে রাঙে গোপী সাত সুর তুলে
দখিনা পবন বয় যমুনার কূলে,
শিমূল পলাশ ঝরে ফাগুনের কালে
পঞ্চমে ধরে তাণ কোকিল কূহরী।
হোলির শোভাযাত্রা এগিয়ে যেতেই বিক্রম আর দেবলীনা গাড়িতে এসে বসে । দুজনেই আবির গুলালে মাখামাখি হয়ে এসেছে। বিক্রম শশাঙ্ককে রহস্যময়ী মহিলাকণ্ঠ আর সাধুবাবার কথা বললেন। সবকিছু শুনে শশাঙ্ক কিছুক্ষন থ হয়ে বসে রইলেন। তারপর বললেন, " আমার বিপদ সন্মন্ধে কিছুটা পূর্বাভাস আমাকে ছোটমা দিয়েছেন।"
" ছোটমা ! কিন্তু তিনি তো প্যারালাইজড।" বিক্রম দ্বিধা প্রকাশ করে।
" প্যারালাইজড হলেও কথাবার্তা বলতে পারেন। তবে অনেক কষ্টে।"
বিক্রম বাধা দিয়ে বলে, " আমি সেকথা বলছি না। একজন প্যারালাইজড মহিলা যিনি নিজের ঘরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ তিনি এত খবর পান কোথা থেকে ? "
" বিক্রমবাবু, যারা মা বা মাতৃতুল্য তারা সন্তানের বিপদের আঁচ অনেক আগে থেকেই পান। " শশাঙ্ক ব্রেক কষে। গাড়িটা এসে দাঁড়ায় একটা দোতলা বাংলো টাইপের বাড়ির সামনে।
দোতলা বাড়িটা বেশ আধুনিক। একতলায় গাড়ির পার্কিং। সিঁড়ি বরাবর উঠে গিয়ে দোতলার সামনে ঝুলবারান্দা। সেখানে এক ভদ্রমহিলা বসে মোবাইল ঘাঁটছেন। বিক্রমরা এসে পড়াতেও তার কোনো ভাবান্তর হল না। শশাঙ্ক বিক্রমকে বসতে বললেন।
এতক্ষণে চোখ তুললেন ভদ্রমহিলা। "সকাল সকাল কোথায় বেরিয়েছিলে ?"
" বাড়ি গিয়েছিলাম। পরিচয় করিয়ে দিই ইনি বিখ্যাত গোয়েন্দা বিক্রম মুখার্জি।" শশাঙ্ক বিক্রমের দিকে নির্দেশ করল। বিক্রম হাত জোড় করে নমস্কার জানাল।
"... আমি ডাঃ অপরুপা সাহা রায়" ভদ্রমহিলা প্রতি নমস্কার জানাল।
" হ্যাঁ, কিন্তু আপনি ? আপনাকে তো ঠিক চিনলাম না !" শশাঙ্ক উত্তর দেয়।
বিক্রম হাতজোড় করে প্রণামের ভঙ্গিতে বলেন, " আমি প্রাইভেট ডিটেকটিভ বিক্রম মুখোপাধ্যায়। আপনার জনৈকা শুভাকাঙ্খী আমাকে অ্যাপোয়েণ্ট করেছেন। উদ্দেশ্য কি তা ডিটেইলসে জানি না, তবে তিনি যে আপনাকে বাঁচাতে চান তা পরিস্কার। "
শশাঙ্কবাবুর মুখে হারানো দীপ্তি আবার ফিরে আসে। " যদি তাই হয় তাহলে আপনাকে আমার কিছু বলার আছে। কিন্তু উনি কে ? " শশাঙ্ক দেবলীনার দিকে তাকায়।
বিক্রম শশাঙ্ককে আশ্বস্ত করে," আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট, দেবলীনা। আপনি ওর সামনেই সবকিছু বলতে পারেন। "
শশাঙ্ক বিক্রমকে নিয়ে গাড়ির ভেতরে যায়। দেবলীনা, শশাঙ্ক আর বিক্রম গাড়িতে করে বেরিয়ে পড়ে । গাড়িটা কিছুদূর এগোতেই নজরে পড়ে একটা মিছিল। একদল লোক আবিরে রাঙা হয়ে গান গাইতে গাইতে আসছে। কাজের চাপে খেয়ালই ছিল না যে আজ হোলি। দেবলীনার ইশারায় গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। বিক্রম আর দেবলীনা নেমে পড়ে। তারা মিশে যায় ঐ ভিড়ের মধ্যে। উড়তে থাকে আবির। বিক্রম গান ধরে -
আজ ফাগুন হাওয়ায় উড়িয়ে দাও
ব্যর্থ প্রাণের যত আবর্জনা
আজ নতুন আলোয় ধুইয়ে দাও
কঠোর প্রাণের যত নিষেধ যত প্রবঞ্চনা।
ঐ দিকে দিকে পলাশ হাঁসে
(তার ) আগুন রঙে ফাগুন আসে
আমের বোলে ভ্রমর বসে
- মেলে নবীন ডানা।
ভোরের রবি আবির মেখে
দ্বারে দ্বারে যায় গো ডেকে,
কার কপালে তিলক আঁকে
প্রজাপতির ডানা।
আজ শিমূলবনে পাগলা হাওয়া
করে কেবল আসা যাওয়া,
(তার) নদীর জলে উজান বাওয়া,
ঘুচিয়ে নিষেধ-মানা ।
হোলির দল গেয়ে ওঠে,
হোলি হ্যায় হোলি হ্যায়....
বৃন্দাবনমে হোরি খেলে রাধা প্যারী
আবিরে আবিরে রাঙা হল অঙ্গ ভিজিল নীল শাড়ি।
হাতে পিচকারি চলে গোপনারী
কালো তমালে লুকাইল হরি,
আহিড়িনী রোষে টানে পীত শাড়ি,
বসন ধরে কানা কাঁপে থরথরি।
সাত রঙে রাঙে গোপী সাত সুর তুলে
দখিনা পবন বয় যমুনার কূলে,
শিমূল পলাশ ঝরে ফাগুনের কালে
পঞ্চমে ধরে তাণ কোকিল কূহরী।
হোলির শোভাযাত্রা এগিয়ে যেতেই বিক্রম আর দেবলীনা গাড়িতে এসে বসে । দুজনেই আবির গুলালে মাখামাখি হয়ে এসেছে। বিক্রম শশাঙ্ককে রহস্যময়ী মহিলাকণ্ঠ আর সাধুবাবার কথা বললেন। সবকিছু শুনে শশাঙ্ক কিছুক্ষন থ হয়ে বসে রইলেন। তারপর বললেন, " আমার বিপদ সন্মন্ধে কিছুটা পূর্বাভাস আমাকে ছোটমা দিয়েছেন।"
" ছোটমা ! কিন্তু তিনি তো প্যারালাইজড।" বিক্রম দ্বিধা প্রকাশ করে।
" প্যারালাইজড হলেও কথাবার্তা বলতে পারেন। তবে অনেক কষ্টে।"
বিক্রম বাধা দিয়ে বলে, " আমি সেকথা বলছি না। একজন প্যারালাইজড মহিলা যিনি নিজের ঘরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ তিনি এত খবর পান কোথা থেকে ? "
" বিক্রমবাবু, যারা মা বা মাতৃতুল্য তারা সন্তানের বিপদের আঁচ অনেক আগে থেকেই পান। " শশাঙ্ক ব্রেক কষে। গাড়িটা এসে দাঁড়ায় একটা দোতলা বাংলো টাইপের বাড়ির সামনে।
দোতলা বাড়িটা বেশ আধুনিক। একতলায় গাড়ির পার্কিং। সিঁড়ি বরাবর উঠে গিয়ে দোতলার সামনে ঝুলবারান্দা। সেখানে এক ভদ্রমহিলা বসে মোবাইল ঘাঁটছেন। বিক্রমরা এসে পড়াতেও তার কোনো ভাবান্তর হল না। শশাঙ্ক বিক্রমকে বসতে বললেন।
এতক্ষণে চোখ তুললেন ভদ্রমহিলা। "সকাল সকাল কোথায় বেরিয়েছিলে ?"
" বাড়ি গিয়েছিলাম। পরিচয় করিয়ে দিই ইনি বিখ্যাত গোয়েন্দা বিক্রম মুখার্জি।" শশাঙ্ক বিক্রমের দিকে নির্দেশ করল। বিক্রম হাত জোড় করে নমস্কার জানাল।
"... আমি ডাঃ অপরুপা সাহা রায়" ভদ্রমহিলা প্রতি নমস্কার জানাল।
No comments:
Post a Comment