উদ্যাম আদিম আতঙ্ক আর উৎস হতে উৎসারিত স্নেহ
মিলেছিল একসাথে, প্রকৃতির যেথা পন্নগেহ
অবিরাম আলোকধারায় করেছিল স্নান।
একদিন সেইপথ ধরে হৃদয়ের যত হাসিগান
বেজেছিল যেসুরে হঠাৎ সে আমার উত্তরবঙ্গ তুমি।
তোমার চোখের ইশারায় আমারে চিনেছি আজ আমি।
যুবতীর উদ্ধত স্তনের মতন পাহাড়ের চূড়া বনানীর মাঝে
আকাশচুম্বন করে ফেরে। জ্যোৎস্নামাখা দামালেরা নাচে
চায়ের ঝোপের ফাকে প্রহত মূরজার তালে তালে।
বিস্তীর্ণ উপত্যকার বৃক্ষরাজি ঝর্ণার শব্দের সাথে মিলে
নিয়ে চলে দূর স্বপ্নলোকে।
চন্দ্রের আলোকে - -
ছায়া পড়ে হ্রদের জলে জলখেতে আসা শ্বাপদের যত,
মৃদুমন্দ বাতাসেরা গেয়ে চলে গান। মৃত্যুর মতো
রাত্রি আসে পেঁচার চিৎকারে ভর করে।
চেয়ে থাকে জোনাকিরা আলো মেখে, - অরণ্যের পরে
কেউ যেন গেয়ে যায় ঘুমপাড়ানিয়া গান মায়ের মতন।
ঘুম আসে, জেগে থাকে বনস্থলি বুকে নিয়ে আগামীর সবুজ স্বপন।
No comments:
Post a Comment