Friday, August 9, 2019

শয়তানের থাবা - পর্ব ২ // সুব্রত মজুমদার


মরচে ধরা তালাটা টান মারতেই খুলে গেল। ভেতরে অজস্র কাগজপত্র আর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সম্ভার।  কাঠের সুদৃশ্য ব্রাশ, মেড-ইন-ইংল্যাণ্ড রেজার, আরো কত কি । তবে এত  সবকিছুর মধ্যেও যে জিনিসটা আমার নজর কাড়লো সেটা হল একটা মরক্কো চামড়ার বাঁধাই একটা সুদৃশ্য ডায়েরি। "
এতটা বলার পর বুড়ো সোয়েটারের ভিতর থেকে একটা মাঝারি সাইজের চামড়া বাঁধানো ডায়েরি বের করে আমার হাতে দিলেন। মরক্কোর তৈরি আসল ছাগল বা বাছুরের চামড়া দিয়ে বাঁধানো ডায়েরিটা উজ্জ্বল লাল রঙের। এতদিনের পুরানো হওয়া সত্ত্বেও এতটুকুও ঔজ্জ্বল্যে ঘাটতি পড়েনি। মরক্কো চামড়ার এটাই বিশেষত্ব।
   আমি ডাইরিটা নিয়ে নিজের কাছে রেখে দিলাম। নমস্কার জানিয়ে বুড়োকে বললাম, "আজ রাত অনেক হয়েছে। কাল আবার  সাইটসিইংয়ে  যাব। একটু ঘুমিয়ে নিই।"
বুড়ো আর কথা বাড়াল না। প্রতিনমস্কার জানিয়ে   বিদায় নিল।
                                                                         - - তিন - -
রাত্রে কেমন ঘুম হয়েছিল সেটা আর বলবার অবকাশ থাকে না। সারাদিনের জার্ণি আর আবহাওয়ার শীতলতা ঘুমের উত্তম অনুঘটক হয়ে দাঁড়াল। বিছানায় শোয়ার মাত্রই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লাম। ঘুম ভাঙল অ্যালার্মের আওয়াজে। ভোর চারটেয় অ্যালার্ম দেওয়া ছিল। উঠেই ব্রেকফাস্ট করে নিলাম। আজ 'নাথুলা পাস' আর 'ছাঙ্গু' লেক যাওয়ার কথা। গাড়ি আসবে সকাল ছয়টা নাগাদ।
কপালে সুখ লেখা না থাকলে যা হয়, তিন বুড়োতে আমার ভ্রমণের আনন্দের বারোটা বাজিয়ে ছাড়ল। এদের মধ্যে একজন হলেন শশাঙ্কশেখর মৈত্রের পক্ককেশ আঁতেল পুত্র যিনি আমার পেছনে পৃষ্ঠব্রণের মতো আটকে আছেন। অপর দু'জন আমার ট্রাভেলেরই যাত্রি শ্রীমান অঘোরনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও শ্রীমান মৃগাঙ্ক সেন।
ঠাণ্ডায় আমেজ করে বসে বসে ডিম টোস্ট সহযোগে কফি খাচ্ছি। আরো দু'একজন রয়েছেন। সবাই নিজেরমতো খোশগল্পে ব্যস্ত। এমন সময় হন হন করে এগিয়ে এলেন অঘোরবাবু। এসেই আমার সামনের চেয়ারটা টেনে নিয়ে জুত করে বসে কটমট চোখে আমার দিকে চেয়ে বললেন, "আপনাদের কি ব্যাপার বলুন তো মশাই, লোক ঠকানোর ব্যবসা ফেঁদেছেন ?"
ডিমটোস্টের টুকরোটা আর আমার গলা দিয়ে নামল না। আমি বিস্ময়ে জিজ্ঞাসা করলাম, "কেন, কি হল হঠাৎ ?"
"হবার কিছু বাকি আছে কি ? কি লোককে সঙ্গে দিয়েছেন মশাই ! একটু ঘুম আসে আর ঠেলা দিয়ে জাগিয়ে দেয়। বলে কিনা কেমন নৈসর্গিক শোভা দেখুন ! আরে মশাই, এতগুলো টাকা খরচ করে কি আমি রাত জেগে নৈসর্গিক শোভা দেখতে এসেছি ! আমার টাকা ফেরত দেন মশাই। অনেক হয়েছে আপনাদের কেরামতি, রাত জেগে জেগে মানসিক রোগী হয়ে যাব এবার। "
অনেক কষ্টে অঘোরবাবুকে বোঝালাম। অঘোরবাবু আমাকে দিয়ে একরকম প্রতিজ্ঞাই করিয়ে নিলেন যে নাথুলাপাস পৌঁছে আমি মৃগাঙ্কবাবুকে চিন বর্ডার পার করে দেব। ভাগ্য ভালো পরিহাস ছলে মিথ্যা বলায় কোন পাপ হয় না।
ওয়েটার অঘোরবাবুর জন্যে ওমলেট আর কফি এনে টেবিলে রাখল। অঘোরবাবু কফির কাপে সুরুৎ করে একটা চুমুক দিলেন। তারপর আমার দিকে এবার প্রেমেপড়া দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন," একমাত্র আপনার উপরেই বিশ্বাস করতে পারি মশাই। সেই যৌবনকাল যদি থাকত তবে ওরকম মৃগাঙ্ক সেনকে আমি এমন যুযুৎসুর প্যাঁচ কষতাম না একদম ভবলীলা সাঙ্গ হয়ে যেত। বিক্রম মুখোপাধ্যায়কে চেনেন ? "
বিক্রম মুখোপাধ্যায়কে আমি স্বচক্ষে দেখিনি, কিন্তু রেডিও, টিভি আর খবরের কাগজের দৌলতে ওই নামটি আমার চেনা। পুরীর হোটেলে বন্ধ রুমের রহস্য সমাধান থেকে হুয়াকোপার মমির রহস্যভেদের সব কাহিনীই আমার জানা। তাই বললাম," চিনি। "
" আমার প্রতিবেশী মশাই। ওই যে পুরীর হোটেলে শিশুপাচারকারীদের ধরা হয়েছিল, তখন বিক্রমের সহকারী কে ছিল ?" অঘোরবাবু ভ্রু-নাচাতে নাচাতে জিজ্ঞাসা করলেন।
"কে ?"
"বলুন দেখি ! গেস করুন।"
আমি বললাম, "খবরের কাগজে যা পড়েছি  তাতে সেসময় তার সঙ্গে একটা সাইকিক বুড়ো ছিল। খুব জ্বালিয়েছিল বিক্রমবাবুকে। "
অঘোরবাবু একটা ওমলেট এর টুকরো মুখে নিয়ে চিবোচ্ছিলেন, আমার উত্তরটা কেন জানি নিতে পারলেন না বিষম খেয়ে প্রায় চেয়ার থেকে পড়ে যাচ্ছিলেন। আমি বাঁহাত দিয়ে  অঘোরবাবুকে ধরলাম। উল্টেযাওয়ার হাত রক্ষাপেয়েই তিনি আবার খাওয়ার দিকে মন দিলেন। আর গোয়েন্দা বিক্রমের প্রসঙ্গ আনলেন না।
  কার মুখ দেখে উঠেছি জানি না দুই বুড়োই আমার গাড়িতে। মাঝের সিটে পাশাপাশি দুই বুড়ো অঘোরবাবু আর মৃগাঙ্কবাবু। দুজনেই দুজনের বিপরীত দিকে মুখ ঘুরিয়ে গোমরামুখে বসে আছেন। মনে আনন্দ নেই। আমাকে দেখেই অঘোরবাবু একটা ইঙ্গিত করে মৃগাঙ্কবাবুকে দেখালেন। এর অর্থ এই যে আসামী হাজির, এইবার বেঁধেছেঁদে চায়নাতে পাঠাতে পারলেই হলো।
গাড়ি চলতে লাগল। চেকপোষ্টের কাছে গাড়ি দাঁড়াল। চেকপোষ্টে সিকিম পুলিশের হাতে ছবিসাঁটা অনুমতিপত্র জমা দিতেই গাড়ি ছেড়ে দিল। এরপর গন্তব্যস্থল নাথুলা পাশ। সেখানে বাবা মন্দিরে বাবা হরভজন সিংয়ের মন্দির দেখে ফেরার সময় ছাঙ্গু লেকে থামব।
রাস্তা পাকা হলেও  কিছু কিছু জায়গায় ধ্বস নেমেছে। তবে সেখানেও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে রাস্তা মেরামতির কাজ। দুটো গাড়ি একে অপরকে ক্রস করে যেতে পারে সহজেই। তবে তার অতিরিক্ত রাস্তা নেই। কিছু কিছু জায়গায় রাস্তা সামান্য বেশি চওড়া, সেখানে গাড়িগুলো প্রয়োজন মতো পার্ক করে। গাড়ির দু'এক জনের হাইঅল্টিটিউডের সমস্যা আছে। আঁকাবাঁকা পাহাড়ী রাস্তায় তাদের মূহুর্মূহু বমি হচ্ছে। ওন্ডেম জাতীয় ওষুধেও কাজ হচ্ছে না।
ছাঙ্গু লেকের কিছুটা আগে একটা মাঝারি মাপের ঝর্ণা আছে। গাড়ি সেখানে থামল। গাড়ি থামতেই পেছনের সিট হতে মৈত্রবুড়ো নেমে এগিয়ে এলেন। তার হাতে সেই কাগজের টুকরোটা। আমার কানের কাছে মুখ এনে বললেন, "এই সেই জায়গা। এখানেই ম্যাপে চক্র আছে।"
"বলেন কি !"   আমি কাগজটা বুড়োর হাত হতে নিয়ে খুলে দেখলাম। হ্যাঁ, তাইতো। ম্যাপ অনুযায়ী এই ঝর্ণাটাকে চক্র চিহ্ন দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমি বললাম,"তাইতো দেখছি। কিন্তু কি করা যায় বলুন তো !
 মৈত্রবুড়ো বলল," এখানে নির্ঘাত কিছু আছে। চলুন। একটু গোয়েন্দাগিরি করা যাক।"
আমি বুড়োর পেছন ধরলাম। বুড়োর শরীরে শক্তি আছে, যে চড়াই উঠতে আমার মতো যুবকেরও হাঁসফাঁস অবস্থা সেই চড়াই অবহেলে উঠে যাচ্ছে বুড়ো। আমরা ঝর্ণার পাশের ঝোপ বরাবর উঠছি। ভেজা নরম পাথর খসে পড়ছে অবিরত। পাথরের খাঁজের ঠিকমতো হাত জমাতে পারছি না। বুড়ো তড়তড়িয়ে উঠে যাচ্ছে। আমিও বুড়োর পদাঙ্ক অনুসরণ করে উঠছি। কতক্ষণ লাগলো জানি না একটা সমতল মতো জায়গায় এসে পৌঁছলাম। আমি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম কিন্তু বুড়ো আমার জামার পেছনে ধরে এক হ্যাঁচকায় আমাকে টেনে নিলো । বাপরে বুড়ো হাড়ের জোর ! একটা ঝোপের ভেতরে টেনে ঢুকিয়ে নিল। তারপর চাপা গলায় বলল, "চুপ ! সামনে দেখুন।"
সামনের দিকে চোখ যেতেই দেখলাম একটা বৌদ্ধস্তুপ। বৌদ্ধস্তুপটির মাথায় একটা চক্র। আমি কিছু বলতেই যাচ্ছিলাম, কিন্তু হঠাৎ একটা দৃশ্য দেখে আমার গলা শুকিয়ে গেল। আরে ওটা কে ! মৃগাঙ্কবাবু না ! হ্যাঁ তাই তো। দেখলাম মৃগাঙ্কবাবু এগিয়ে যাচ্ছেন স্তুপটার দিকে। সাথে একজন গোর্খা যুবক। দুজনে মিলে স্তুপটাকে শাবল আর গাঁইতি দিয়ে উপড়ে ফেলল। তারপর তন্ন তন্ন করে কি যেন খুঁজতে লাগল । খোঁজা শেষ হতেই উৎড়াই বেয়ে নেমে গেল দু'জনে।
ওরা অদৃশ্য হয়ে যেতেই বুড়ো মাটিতে শোয়ানো স্তুপটার দিকে এগিয়ে গেল। আমিও পিছু নিলাম।  শাবল গাঁইতির আঘাতে বিধ্বস্ত স্তুপটা মাটিতে পড়ে আছে। বুড়ো একটা খুরপির মতো জিনিস নিয়ে স্তুপটার মাথার একটা বিশেষ অংশে আঘাত করতেই একটা ধাতব টুকরো বেরিয়ে এল। বুড়ো সেই টুকরোটা পকেটে ভরে নিয়ে বলল, "এবার চলুন। আমাদের এখানকার কাজ শেষ।"
আমি কিছু বলার আগেই বুড়ো বলল, "হোটেলে গিয়ে সব বলব। এখন ভ্রমণের আনন্দটা মাটি করা উচিত হবে না।"   আমিও আর কথা না বাড়িয়ে নিচে নেমে আসার জন্য পা বাড়ালাম।
নিচে এসে দেখি সবাই সেলফি তোলায় ব্যস্ত। এদিকে বুড়োও কখন কেটে পড়েছে। আমাকে দেখতে পেয়েই অঘোরবাবু দৌড়ে এলেন। তার হাতে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল। আমার হাতে মোবাইলটা জোর করে ধরিয়ে দিয়ে বললেন," কয়েকটা ছবি তুলে দেন তো মশাই । এই সুন্দর কলোকল্লোলিনী ঝর্ণা, এর সামনে দাঁড়িয়ে ছবি না তুললে জীবনটাই বৃথা মশাই।"
আমি সংশোধন করে দিয়ে বললাম, "ঝর্ণা কখনো কলোকল্লোলিনী হয় না। নদী হলে হতে পারে।"  অঘোরবাবু কোনো প্রতিবাদ করলেন না। ঝর্ণাটাকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে অনেকগুলো ছবি তুলে দিলাম ভদ্রলোকের। সত্যি বলতে কি পরিবেশটি খুবই মনোমুগ্ধকর। ঝর্ণার আওয়াজ এই সৌন্দর্য্যকে একটা বিশেষ মাত্রা দিয়েছে। আরেকটা জিনিস আমার নজরে এল, সেটা হল স্ট্রবেরীর ঝোপ। ঝর্ণার আশেপাশে অজস্র স্ট্রবেরীর ঝোপে  প্রচুর ফুল ফুটে রয়েছে। নার্সারি হতে স্ট্রবেরীর কাটিং এনে বাড়িতে টবে লাগিয়েছিলাম। ফুল ধরার পর গাছটা গরমে শুকিয়ে যেতে লাগল। বাঁচাতে পারিনি। আথচ এখানে প্রকৃতির কোলে বিনা কোন পরিচর্যায় কতশত স্ট্রবেরী গাছ তাদের একাধিপত্য জাহির করছে। এই হল প্রকৃতি। তার করুণা যার উপর বর্ষিত হয় সে পত্রেপুস্পে বিকশিত হয়ে ওঠে আর প্রকৃতির রোষ...! সে তো আমরা নিত্য উপলব্ধি করতে পারছি। বিশ্বউষ্ণায়ন তিলে তিলে গ্রাস করছে সভ্যতাকে, দিন দিন পৃথিবী হয়ে উঠছে ধ্বংস যজ্ঞের হোমকুণ্ড। সে অবশ্য আমাদের দোষেই।
এবার দেখতে পেলাম মৃগাঙ্ক সেনকে। তিনি ঝর্ণার পাশে একটা পাথরে চুপচাপ বসে আছেন। তাকে দেখলে বোঝাই যাবে না যে একটু আগেই তিনি মিটার দশেক চড়াই পেরিয়ে প্রাচীন বৌদ্ধস্তুপের দফারফা করে এসেছেন। আমার মতোই অঘোরবাবুর দৃষ্টিও মৃগাঙ্ক সেনের উপর পড়ল। অঘোরবাবু আমার পাশটাতে দাঁড়িয়ে বললেন, "দেখলেন তো মশাই, কেমন ভিজে বেড়াল হয়ে বসে আছে। গাড়ি থামার আগেই আমাকে চিমটি কেটেছিল। আমিও দিয়েছি। আমি কারোর খেয়ে থাকি না মশাই।" অঘোরবাবু একটা বিজয়ীর হাসি হাসলেন।
                                              অন্যসময় হলে অঘোরবাবুর কথায় বিরক্তি প্রকাশ করতাম, কিন্তু এখন কেন জানি না অঘোরবাবুর মতোই আমারও ইচ্ছা করছে মৃগাঙ্ক সেনের পেটে একটা রামচিমটি লাগাই। ইতিমধ্যে ড্রাইভার তাড়া দিতে শুরু করেছে। তাই সবাইকে গুটিয়ে নিয়ে নিজের নিজের গাড়িতে তুলে দিলাম। গাড়ি চলতে শুরু করল।
আস্তে আস্তে দৃশ্যপট বদলাচ্ছে। গাড়ি পাকদণ্ডী বেয়ে ক্রমাগত উঠে চলেছে। ঘন কুয়াশার মতো মেঘ হাতের নাগালে ঘোরাফেরা করছে। কখনো কখনো গাড়ির জানালা দিয়ে ঢুকে আরোহীর সঙ্গে সুখালাপের চেষ্টা করছে । কিন্তু এই প্রচেষ্টা ড্রাইভারের পাশে বসে থাকা আরোহীর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে । সে তখন ড্রাইভারকে ধীরে সুস্থ্যে গাড়ি চালাবার জন্যে অনুনয় করতে থাকে। ড্রাইভার খুব শান্ত ছেলে। সে মোটেও বিরক্ত হয় না।
গাড়ি ছাঙ্গু পেরিয়ে গেল। জানালা হতে হ্রদটাকে দেখলাম। কি অপূর্ব সুন্দর !  যেন কোন পাহাড়ী মেয়ে তার উদ্ধত বুকের উপর কালচে সবুজ পনচো জড়িয়ে বসে আছে। ফিকে নীল রঙের রেশমি দোপাট্টা তার গভীর নাভিদেশের উপর পড়ে রয়েছে অবহেলে। কখনো কখনো হাল্কা হাওয়ায় তিরতির করে কাঁপছে ওড়নাখানা। আমার মতো যারা আনকোরা, যারা এখনও প্রেমে পড়েনি তাদের মনকেও বিচলিত করতে পারে এই দৃশ্য। মনে পড়ে গেল মহাকবি কালিদাসের মেঘদূত কাব্যের সেই অমোঘ উক্তি।
'... কামার্তা হি প্রকৃতিকৃপণাশ্চেতনাচেতনেষু।'
অর্থাৎ কামনাগ্রস্থ ব্যক্তির কাছে চেতন আর অচেতনের কোন পার্থক্য নেই। তাই কখনো মেঘ হয় দূত তো কখনো সুউচ্চ পাহাড়কে দেখে মনে হয় কোন চপলমতি কিশোরীর উদ্ধত বক্ষদেশ।

No comments:

Post a Comment

জলতরঙ্গ

#জলতরঙ্গ (পর্ব ১) #সুব্রত_মজুমদার                                                             এক                             আশ্বিনের এখনও শ...