- - তিন--
খুব ভোরে উঠেছে বিক্রম। দেবলীনা এখনো অঘোরে ঘুমাচ্ছে। কালকের রাতের দমবন্ধ করা পরিবেশের সাথে আজকের ভোরের এই মিষ্টি পরিবেশের কোন তুলনা নেই। রাস্তায় বিভিন্ন বয়সের লোকজন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছে। মোড়ের মাথায় দু'একটা চায়ের দোকান ছাড়া সব দোকানপাটের ঝাঁপ বন্ধ। বিক্রম হাঁটতে হাঁটতে আগেরদিনের সেই চায়ের দোকানটায় হাজির হল। চায়ের দোকানটার সামনে মাটিতে বসে কালকের দেখা সেই পাগল মেয়েটি। বিড়বিড় করে কি যেন বকছে।
দোকানের বেঞ্চে এসে বসতেই চাওয়ালা হাজির। বিক্রমকে অনেকক্ষণ ভালো করে খুঁটিয়ে দেখে প্রশ্ন করেন, "কেমন আছেন বাবু ?"
বিক্রম বিকট চিৎকার করে একলাফে চাওয়ালার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। চাওয়ালা 'রাম রাম' করতে করতে মেঝেতে পড়ে যায়। বিক্রম হেঁসে ওঠে। চাওয়ালাকে টেনে তুলে বলে, "কি ভয় পেয়ে গেলেন তো। আরে না বাবা পাগল হইনি। পা আমার সোজাই আছে।"
" খুব জোর ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম বাবু। ও বাড়িতে রাত কাটিয়ে এলেন তো তাই ভরসা করতে পারিনি। ওই দেখুন বাবু, ওই যে পাগলীটা দোকানের সামনে বসে আছে ও কাজ করত রায়ভিলাতে। এখন বদ্ধ পাগল। হাওয়ার সঙ্গে কথা বলে। " চাওয়ালা বিক্রমের পাশেই বসে পড়ে।
বিক্রম চাওয়ালার দিকে মুখ ঘোরায়। " আপনার বাড়ি কি এখানেই ? "
" হ্যাঁ বাবু, আমি স্কুলের পেছনের পাড়াটাতে থাকি। 'হঠাৎ পাড়া' বললে সবাই চিনবে। "
" হুমম্ ! আচ্ছা রায়ভিলার বড়কর্তার শ্যালিকা কি যেন নাম... "
চাওয়ালা কথাটা লুফে নেয়। " রমলা। আমরা রমা মাসি বলে ডাকি। কিন্তু উনি তো বহুদিন ধরে বিছানায় পড়ে আছেন। "
" আর রথিনবাবু, তিনি লোক হিসাবে কেমন ? "
" রথিনবাবু কলকাতায় পড়াশোনা করেছেন। বাবার মৃত্যুর পর এখন ব্যবসা উনিই দেখেন। তবে শশাঙ্কবাবুর সাথে তার বনিবনা কম।"
"শশাঙ্কবাবুটি কে ?" বিক্রম উৎসাহী হয়ে ওঠে।
" আজ্ঞে শশাঙ্কবাবু হলেন রথিনবাবুর দাদা । বড় ডাক্তার তিনি। এক্কেবারে ধন্বন্তরি। উনার বৌও ডাক্তার, - তবে স্বজাতির নয়। রায়গিন্নী তাই শশাঙ্কবাবুকে বাড়িতে ঢুকতে দেন না। সব সম্পত্তি এখন রথিনবাবুর কব্জায়। তবে মাসিমা শশাঙ্কবাবুকে খুব স্নেহ করতেন। তিনি রায়গিন্নীকে শাসিয়েছিলেন যে শশাঙ্কবাবুর ন্যায্য পাওনা তিনি আদায় করে তবেই মরবেন । তারপর থেকেই উনি বিছানাগত। "
বিক্রম চা খেয়েই বেরিয়ে পড়ে সেখান থেকে। রুমে এসে দেখে দেবলীনা তখনও ঘুমাচ্ছে। দেবলীনাকে উঠিয়ে ডায়েরি বের করে বিক্রম। দিনলিপি লেখার একটা বাতিক আছে তার।
দেবলীনা বাথরুম হতে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এল। আর তখনই চায়ের ট্রে হাতে ঢুকল হাবল পাল।
" চা এসে গেছে। মেমসাহেব দাদাবাবু আপনারা চা বেরেকফাস্ট করে নেন।" হাবল চায়ের কাপে চা ঢেলে পাউরুটিতে মাখন লাগাতে থাকে। ট্রেতে প্লেটে করে বিস্কুট, ডিমের পোচ আর আপেলের টুকরো। দেবলীনা চায়ে চুমুক দেয়। বিক্রম একটা টোস্টে কামড় দিয়ে হাবলের দিকে তাকায়।
" আচ্ছা হাবল, এখানে দর্শনীয় মানে দেখবার মতো কিছু আছে ? - যেমন ধর মন্দির, নদী.,পার্ক।"
বিক্রমের প্রশ্নে হাবল প্রথমে হকচকিয়ে যায় তারপর বুঝতে পেরেই আবার মুখর হয়ে ওঠে। " এই তো নদীর ধারে রায়বাবুদের প্রতিষ্ঠা করা একশো আট শিব মন্দির আছে। অনেক পুরোনো বাবু। ঈশানেশ্বর শিব। খুব মাহাত্ম্য তেনার । "
বিক্রমদের চা খাওয়া শেষ হয়। ট্রে নিয়ে হাবল বেরিয়ে যায়। বিক্রমকে চিন্তিত দেখায়। দেবলীনা ব্যাপারটা লক্ষ্য করে। " কি ব্যাপার বিক্রম, তোমাকে টেনসড লাগছে। "
" তোমার ছড়াটা মনে আছে দেবলীনা ? ওই যে 'পুরের কি কাজ কোণের পাশে', মানেটা আমি পেয়ে গেছি। "
" পেয়ে গেছো ! দ্যাটস গুড !" দেবলীনা উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
"এ গ্রামটার নাম হল ঈশানপুর আর সেটা থেকে পুর বাদ দিলে থাকে ঈশান। ঈশানেশ্বর মহাদেব। তার মানে আমাদের সূত্র নির্দেশ করছে শিব মন্দিরটা। রেডি হয়ে নাও যেতে হবে। কুইক ! "
বিক্রম আর দেবলীনা শিব মন্দিরের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ল। রায়ভিলা হতে দুই কিলোমিটারের মতো রাস্তা। নদীর ধারে একশো আট শিবের মন্দির মালার মতো আকার রচনা করেছে। আর সেই মালার গ্রন্থির জায়গায় একটা বড় দরজা। দরজার চৌকাঠে পাথরের কলস আঁকা। মন্দিরগুলির কারুকার্য অনেকটা বিষ্ণুপুর ঘরানার।
"একটা জিনিস লক্ষ্য করেছ দেবলীনা, দুটো করে মন্দির জোড় তৈরি করেছে। একটা জোড়ের পর কিছুটা রাস্তা তারপর আরেকটা জোড়া। কেবল দক্ষিণদিকের দুটো বড় বড় মন্দির স্বতন্ত্র। এদুটিকে নিয়ে মোট একশত দশটা। সব মন্দিরের গায়েই শিল্পকর্ম আছে তবে পারম্পর্য্যহীন। এ হতে বোঝা যায় মন্দিরগুলির অনেকবার সংস্কার হয়েছে। " বিক্রম বর্ণনা দেয়।
দেবলীনা একটা মন্দিরের সামনের চালালে বসে পড়ে। " এই মন্দিরের সাথে রায়ভিলার ভুতের কি সম্পর্ক থাকতে পারে ? আর পরের লাইনগুলো 'যাও সেখানে ফলের আশে। /মালার গুটি সংখ্যা ধর/রাজার হালে বসত করো।। "
বিক্রম এতক্ষণ গালে হাত দিয়ে ভাবছিল। তারপর হঠাৎ উঠে দাঁড়াল। "কবিতা ছাড়, বেলা হয়েছে রায়ভিলায় ফিরে যেতে হবে। মনে রেখো আমরা তাকে চিনতে পারি আর নাই পারি শ্রীমতী অন্তর্বাসিনী কিন্তু আমাদের উপর নজর রাখছেন। "
" হ্যাঁ, কুড়ি হাজার টাকা যে দিতে পারে সে তোমাকে কুড়ি টুকরো করে পার্শেল করে দিতেও পারে।" দেবলীনা বিক্রমকে খোঁচা দেয়।
" নারী চরিত্র দেবা নঃ জানয়ন্তি কুতঃ মনুষা । মেয়েদের বিশ্বাস নেই। "
বিক্রমের কথায় দেবলীনা উঠে বিক্রমকে তেড়ে যায়। হঠাৎ সামনে এসে পড়েন এক জটাজুটধারী সন্ন্যাসী। সারা শরীরে ছাই মাখা, কপালে অষ্টগন্ধার ত্রিপুণ্ড্রক। ত্রিপুণ্ড্রকের মাঝখানে এবং আজ্ঞাচক্রের উপর দুটি সিঁদুরের ফোঁটা। স্পষ্ট বাংলাতে বলে উঠল," মহাদেবের মাথায় যার স্থান তিনি চঞ্চল হয়ে উঠেছেন। তাকে বাঁচাও। তার খুব বিপদ।"
বিক্রম সাধুবাবাকে জিজ্ঞাসা করে, "বাবা, আপনি যদি সবই জানেন তবে নিজেই রক্ষা করছেন না কেন ? আর এত হেঁয়ালি করে কি লাভ আপনাদের ? আমার বুদ্ধির পরীক্ষা করছেন !"
সাধুবাবা কোনো উত্তর দিলেন না। আশীর্বাদের ভঙ্গি করে মন্দিরের পেছনে অদৃশ্য হয়ে গেলেন।
খুব ভোরে উঠেছে বিক্রম। দেবলীনা এখনো অঘোরে ঘুমাচ্ছে। কালকের রাতের দমবন্ধ করা পরিবেশের সাথে আজকের ভোরের এই মিষ্টি পরিবেশের কোন তুলনা নেই। রাস্তায় বিভিন্ন বয়সের লোকজন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছে। মোড়ের মাথায় দু'একটা চায়ের দোকান ছাড়া সব দোকানপাটের ঝাঁপ বন্ধ। বিক্রম হাঁটতে হাঁটতে আগেরদিনের সেই চায়ের দোকানটায় হাজির হল। চায়ের দোকানটার সামনে মাটিতে বসে কালকের দেখা সেই পাগল মেয়েটি। বিড়বিড় করে কি যেন বকছে।
দোকানের বেঞ্চে এসে বসতেই চাওয়ালা হাজির। বিক্রমকে অনেকক্ষণ ভালো করে খুঁটিয়ে দেখে প্রশ্ন করেন, "কেমন আছেন বাবু ?"
বিক্রম বিকট চিৎকার করে একলাফে চাওয়ালার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। চাওয়ালা 'রাম রাম' করতে করতে মেঝেতে পড়ে যায়। বিক্রম হেঁসে ওঠে। চাওয়ালাকে টেনে তুলে বলে, "কি ভয় পেয়ে গেলেন তো। আরে না বাবা পাগল হইনি। পা আমার সোজাই আছে।"
" খুব জোর ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম বাবু। ও বাড়িতে রাত কাটিয়ে এলেন তো তাই ভরসা করতে পারিনি। ওই দেখুন বাবু, ওই যে পাগলীটা দোকানের সামনে বসে আছে ও কাজ করত রায়ভিলাতে। এখন বদ্ধ পাগল। হাওয়ার সঙ্গে কথা বলে। " চাওয়ালা বিক্রমের পাশেই বসে পড়ে।
বিক্রম চাওয়ালার দিকে মুখ ঘোরায়। " আপনার বাড়ি কি এখানেই ? "
" হ্যাঁ বাবু, আমি স্কুলের পেছনের পাড়াটাতে থাকি। 'হঠাৎ পাড়া' বললে সবাই চিনবে। "
" হুমম্ ! আচ্ছা রায়ভিলার বড়কর্তার শ্যালিকা কি যেন নাম... "
চাওয়ালা কথাটা লুফে নেয়। " রমলা। আমরা রমা মাসি বলে ডাকি। কিন্তু উনি তো বহুদিন ধরে বিছানায় পড়ে আছেন। "
" আর রথিনবাবু, তিনি লোক হিসাবে কেমন ? "
" রথিনবাবু কলকাতায় পড়াশোনা করেছেন। বাবার মৃত্যুর পর এখন ব্যবসা উনিই দেখেন। তবে শশাঙ্কবাবুর সাথে তার বনিবনা কম।"
"শশাঙ্কবাবুটি কে ?" বিক্রম উৎসাহী হয়ে ওঠে।
" আজ্ঞে শশাঙ্কবাবু হলেন রথিনবাবুর দাদা । বড় ডাক্তার তিনি। এক্কেবারে ধন্বন্তরি। উনার বৌও ডাক্তার, - তবে স্বজাতির নয়। রায়গিন্নী তাই শশাঙ্কবাবুকে বাড়িতে ঢুকতে দেন না। সব সম্পত্তি এখন রথিনবাবুর কব্জায়। তবে মাসিমা শশাঙ্কবাবুকে খুব স্নেহ করতেন। তিনি রায়গিন্নীকে শাসিয়েছিলেন যে শশাঙ্কবাবুর ন্যায্য পাওনা তিনি আদায় করে তবেই মরবেন । তারপর থেকেই উনি বিছানাগত। "
বিক্রম চা খেয়েই বেরিয়ে পড়ে সেখান থেকে। রুমে এসে দেখে দেবলীনা তখনও ঘুমাচ্ছে। দেবলীনাকে উঠিয়ে ডায়েরি বের করে বিক্রম। দিনলিপি লেখার একটা বাতিক আছে তার।
দেবলীনা বাথরুম হতে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এল। আর তখনই চায়ের ট্রে হাতে ঢুকল হাবল পাল।
" চা এসে গেছে। মেমসাহেব দাদাবাবু আপনারা চা বেরেকফাস্ট করে নেন।" হাবল চায়ের কাপে চা ঢেলে পাউরুটিতে মাখন লাগাতে থাকে। ট্রেতে প্লেটে করে বিস্কুট, ডিমের পোচ আর আপেলের টুকরো। দেবলীনা চায়ে চুমুক দেয়। বিক্রম একটা টোস্টে কামড় দিয়ে হাবলের দিকে তাকায়।
" আচ্ছা হাবল, এখানে দর্শনীয় মানে দেখবার মতো কিছু আছে ? - যেমন ধর মন্দির, নদী.,পার্ক।"
বিক্রমের প্রশ্নে হাবল প্রথমে হকচকিয়ে যায় তারপর বুঝতে পেরেই আবার মুখর হয়ে ওঠে। " এই তো নদীর ধারে রায়বাবুদের প্রতিষ্ঠা করা একশো আট শিব মন্দির আছে। অনেক পুরোনো বাবু। ঈশানেশ্বর শিব। খুব মাহাত্ম্য তেনার । "
বিক্রমদের চা খাওয়া শেষ হয়। ট্রে নিয়ে হাবল বেরিয়ে যায়। বিক্রমকে চিন্তিত দেখায়। দেবলীনা ব্যাপারটা লক্ষ্য করে। " কি ব্যাপার বিক্রম, তোমাকে টেনসড লাগছে। "
" তোমার ছড়াটা মনে আছে দেবলীনা ? ওই যে 'পুরের কি কাজ কোণের পাশে', মানেটা আমি পেয়ে গেছি। "
" পেয়ে গেছো ! দ্যাটস গুড !" দেবলীনা উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
"এ গ্রামটার নাম হল ঈশানপুর আর সেটা থেকে পুর বাদ দিলে থাকে ঈশান। ঈশানেশ্বর মহাদেব। তার মানে আমাদের সূত্র নির্দেশ করছে শিব মন্দিরটা। রেডি হয়ে নাও যেতে হবে। কুইক ! "
বিক্রম আর দেবলীনা শিব মন্দিরের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ল। রায়ভিলা হতে দুই কিলোমিটারের মতো রাস্তা। নদীর ধারে একশো আট শিবের মন্দির মালার মতো আকার রচনা করেছে। আর সেই মালার গ্রন্থির জায়গায় একটা বড় দরজা। দরজার চৌকাঠে পাথরের কলস আঁকা। মন্দিরগুলির কারুকার্য অনেকটা বিষ্ণুপুর ঘরানার।
"একটা জিনিস লক্ষ্য করেছ দেবলীনা, দুটো করে মন্দির জোড় তৈরি করেছে। একটা জোড়ের পর কিছুটা রাস্তা তারপর আরেকটা জোড়া। কেবল দক্ষিণদিকের দুটো বড় বড় মন্দির স্বতন্ত্র। এদুটিকে নিয়ে মোট একশত দশটা। সব মন্দিরের গায়েই শিল্পকর্ম আছে তবে পারম্পর্য্যহীন। এ হতে বোঝা যায় মন্দিরগুলির অনেকবার সংস্কার হয়েছে। " বিক্রম বর্ণনা দেয়।
দেবলীনা একটা মন্দিরের সামনের চালালে বসে পড়ে। " এই মন্দিরের সাথে রায়ভিলার ভুতের কি সম্পর্ক থাকতে পারে ? আর পরের লাইনগুলো 'যাও সেখানে ফলের আশে। /মালার গুটি সংখ্যা ধর/রাজার হালে বসত করো।। "
বিক্রম এতক্ষণ গালে হাত দিয়ে ভাবছিল। তারপর হঠাৎ উঠে দাঁড়াল। "কবিতা ছাড়, বেলা হয়েছে রায়ভিলায় ফিরে যেতে হবে। মনে রেখো আমরা তাকে চিনতে পারি আর নাই পারি শ্রীমতী অন্তর্বাসিনী কিন্তু আমাদের উপর নজর রাখছেন। "
" হ্যাঁ, কুড়ি হাজার টাকা যে দিতে পারে সে তোমাকে কুড়ি টুকরো করে পার্শেল করে দিতেও পারে।" দেবলীনা বিক্রমকে খোঁচা দেয়।
" নারী চরিত্র দেবা নঃ জানয়ন্তি কুতঃ মনুষা । মেয়েদের বিশ্বাস নেই। "
বিক্রমের কথায় দেবলীনা উঠে বিক্রমকে তেড়ে যায়। হঠাৎ সামনে এসে পড়েন এক জটাজুটধারী সন্ন্যাসী। সারা শরীরে ছাই মাখা, কপালে অষ্টগন্ধার ত্রিপুণ্ড্রক। ত্রিপুণ্ড্রকের মাঝখানে এবং আজ্ঞাচক্রের উপর দুটি সিঁদুরের ফোঁটা। স্পষ্ট বাংলাতে বলে উঠল," মহাদেবের মাথায় যার স্থান তিনি চঞ্চল হয়ে উঠেছেন। তাকে বাঁচাও। তার খুব বিপদ।"
বিক্রম সাধুবাবাকে জিজ্ঞাসা করে, "বাবা, আপনি যদি সবই জানেন তবে নিজেই রক্ষা করছেন না কেন ? আর এত হেঁয়ালি করে কি লাভ আপনাদের ? আমার বুদ্ধির পরীক্ষা করছেন !"
সাধুবাবা কোনো উত্তর দিলেন না। আশীর্বাদের ভঙ্গি করে মন্দিরের পেছনে অদৃশ্য হয়ে গেলেন।
No comments:
Post a Comment