ক্যানেলের ব্রিজের কিছুটা আগে রসিকদাদু কিসে যেন একটা হোঁচট খেলেন। " ওরে মা গো ! বাবা গো ! আমি একেবারে খুন হয়ে গেলাম রে ! " এই বলে রসিকদাদু মাটিতে পড়ে গেলেন।
পঞ্চানন ডাক্তার টর্চের আলো ফেলে দেখলেন রসিকদাদু একটা মাঝারি মাপের ইঁটের টুকরোতে হোঁচট খেয়ে পড়ে গেছেন। তিনি রসিকদাদুর হাত ধরে টেনে তুললেন। রসিকদাদু উঠেই আবার গুঁড়ি হয়ে পাটকেলটা তুলে নিয়ে দূরে ছুঁড়ে দিলেন। বললেন," কি, ঠিক করলাম কিনা বলুন ! কে কখন রাস্তা পার হতে গিয়ে হোঁচট খায়, তাই ফেলে দিলাম।"
পঞ্চানন ডাক্তার মাথা নেড়ে সন্মতি জানালেন। কিন্তু সবার ধাতে সৎকর্ম সয় না। রসিকদাদুরও কপালে পরোপকার সইল না। ঝোপে প্রাতকৃত্য সেরে জগদীশ দারোগা পুকুরে শৌচে গিয়েছিলেন। শৌচ সেরে যেই উঠতে যাবেন অমনি কোথা হতে একটা পাটকেল এসে লাগল কপালে। জগদীশ দারোগা ঝপ করে জলে পড়ে গেলেন। কোনোক্রমে উঠেই যেদিক হতে পাটকেলটা এসেছে সেদিকে দৌড় লাগালেন।
রাস্তার উপরে উঠে জগদীশ দারোগা দেখলেন দু'জন লোক খোশগল্প করতে করতে যাচ্ছে। জগদীশ দারোগা বুঝে গেলেন যে এরাই সেই আততায়ী । রিভলভারটা উঁচিয়ে ধরে দুজনের সামনে এসে দাঁড়ালেন।
" হ্যাণ্ডস্ আপ ! নড়েছ কি মরেছ। ধাঁই ধাঁই করে গুলি চলবে। বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এইবারে ঘুঘু তোমার বধিব পরাণ।"
রাস্তার মাঝখানে পঞ্চানন ডাক্তার আর রসিকদাদু দুই হাত তুলে গৌর নিতাই হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। রসিকদাদুর হাত হতে লাঠি খসে পড়ে রাস্তায়। রসিকদাদু কাতর কণ্ঠে বললেন," হেই ডাকাত বাবা, আমরা ঘুঘু নই। আমাদের মেরো না। "
জগদীশ দারোগা রিভলভার নাচাতে নাচাতে বললেন," কি.. কি বললি ব্যাটা আমি ডাকাত। চল একবার থানায় তোকে বোঝাবো ডাকাত কাকে বলে।"
পঞ্চানন ডাক্তার রসিকদাদুর গা-ঘেঁষে দাঁড়ান। তিনি ভয়ে ভয়ে মিনমিন করে বলেন, " অন্ধকারে কিচ্ছু ঠাওর হচ্ছে না বাবা। আমরা দুজনেই সিনিয়ার সিটিজেন, আমাদের মেরো না।"
জগদীশ দারোগা এবার আরো রেগে গেলেন। তিনি বললেন," সিনিয়ার সিটিজেন হও আর জুনিয়ার সিটিজেন হও কাউকে ছাড়ব না। দু-দুবার আমার মাথায় ঢিল মারা হয়েছে, আমি শোধ তুলবই।"
রসিকদাদু সাহসে ভর করে বললেন," দুবার নয়, একবার আমি ঢিল ছুঁড়েছি।.. তাও ভুল করে। মাফ করে দাও বাবা।"
দু'পক্ষের বাগবিতন্ডা যখন চলছে তখনই একটা তীব্র আলো এসে জগদীশ দারোগার মুখের উপর এসে পড়ল। তীব্র আলোতে রসিকদাদু আর পঞ্চানন ডাক্তার দেখলেন সামনেই দাঁড়িয়ে রিভলভার হাতে জগদীশ দারোগা। তীব্র আলোর ঝলসানি কাটিয়ে উঠতেই জগদীশ দারোগা দেখলেন তার রথ সামনে দাঁড়িয়ে। জিপ হতে ড্রাইভার নেমে এসে বলল, "গাড়িটা হঠাৎ করে স্টার্ট হয়ে গেল দারোগাবাবু।"
জগদীশ দারোগার রসিকদাদু আর পঞ্চানন ডাক্তারকে জোর করে জিপে তুলে নিলেন। জিপে বসেই তারা দারোগাবাবুকে সমস্ত বৃত্তান্ত খুলে বললেন। দারোগাবাবু সমস্ত কথাশুনে একটু নরম হলেন। তিনি বললেন, " তাহলে প্রথম ঢিলটা ওই ছোঁড়াটাই মেরেছে। ওকে আমার কাছে হ্যাণ্ডওভার করবেন। আর আপনাদেরকে অলীকপুরে নামিয়ে দিচ্ছি চলুন।"
জগদীশ দারোগা রসিকদাদু আর পঞ্চানন ডাক্তারকে অলীকপুরের চণ্ডীমণ্ডপে নামিয়ে দিয়ে চলে গেলেন। যাবার সময় সাহেবের সব বৃত্তান্ত রজত রায়কে জানিয়ে দিয়ে গেলেন। এবং বলে গেলেন," আচ্ছা ছেলে তৈরি করেছেন মশাই। আর একটু হলে আমার ছবিতে মালা ঝুলে যেত। "
রজত রায় কাঁচুমাচু হয়ে কিছু বলতে যাচ্ছিলেন কিন্তু জগদীশ দারোগা তাতে কর্ণপাত না করে গাড়ি স্টার্ট করে দিলেন। রসিকদাদুও তাদের শর্তের কথা জানালেন । এতে রজত রায় কোন মন্তব্য করলেন না। তিনি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলেন।
ওদিকে হাতিডোবার লোকেরা অলীকপুরের লোকেদের উপর বিশ্বাস করে উঠতে পারেনি। তারা রসিকদাদুদের বেরোনোর আধঘণ্টা পরেই বাছা বাছা ষণ্ডামার্কা লোক পাঠিয়েছে অলীকপুরে। কোনোরকম বেগতিক দেখলেই রসিকদাদু আর পঞ্চানন ডাক্তারকে ঘাড়ে করে নিয়ে আসবে হাতিডোবায়।
পঞ্চানন ডাক্তার স্টেথস্কোপ বাগিয়ে হরি ডাক্তারের দিকে এগিয়ে গেলেন। হরি ডাক্তারের বুকে স্টেথস্কোপ বসানো মাত্র সাপ বাবাজী পুরাতন আশ্রয় ত্যাগ করে পঞ্চানন ডাক্তারের জামার নিচে আশ্রয় নিল। হরি ডাক্তার কাটা গাছের মতো পড়ে গেলেন ও সঙ্গে সঙ্গে মূর্ছা। আর পঞ্চানন ডাক্তার দুই বাহু তুলে নিতাইগৌর হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। এ সবকিছুর উপরে লক্ষ্য রাখছিল হাতিডোবার কম্যাণ্ডোবাহিনী । তারা পঞ্চানন রসিকদাদু আর ডাক্তারকে তুলে নিয়ে দে ছুট।
- - ৪--
সকাল হতেই মহান্তজীর আশ্রমে প্রায় মেলা বসে গেছে। গ্রামের ছেলে বুড়ো বৌ-ঝিরা এসে ভিড় জমিয়েছে আশ্রমের প্রাঙ্গণে। তিন্নির আজ কাজের শেষ নেই, - আগত লোকজনের ভিড় সামাল দেওয়া, বাপের স্ট্যাচুতে ঝাড়পোঁছ করা, অলীকপুরের ছেলেটাকে দেখাশোনা করা, আরো কত কি। আজ তার বসার সময় নেই।
অন্যদিন মহান্তজীর আশ্রমে লোক আসে নামগান করতে, আর আজ সবাই এসেছে পঞ্চানন ডাক্তারের স্ট্যাচু দেখতে। গোটা গ্রামে রটে গেছে যে অলীকপুরের লোকেরা ম্যাজিক করে পঞ্চানন ডাক্তারকে স্ট্যাচু করে দিয়েছে। গ্রামের লোকেরা সাহেবের উপর খুব রেগে আছে, একবার সুযোগ পেলেই ছিঁড়ে খেয়ে ফেলবে একদম। আর তার সাথে যোগ দিয়েছেন মহান্তজী। মহান্তজী মাঝে মাঝেই সাহেবের কাছে আসছেন আর মধুর স্বরে জিজ্ঞেস করছেন, " গোবিন্দের কৃপায় সব ঠিকঠাক আছে তো বাবা ? তোমার পিসি যদি আমাকে একটু বুঝত.... গোবিন্দ !.. গোবিন্দ !!..."
রসিকদাদু ব্যাপার-স্যাপার দেখে রাত্রেই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। সকাল থেকেই রসিকদাদুর মাঝে মাঝে জ্ঞান আসছে, আবার তিনি "ঊরিব্বাস !!! " বলে অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন। তার শিয়রের পাশেই বটেশ্বর ওঝা বসে আছেন ঝাঁটা আর শুকনোলঙ্কা নিয়ে। জ্ঞান হলেই ভুত ঝাড়বেন রসিকদাদুর।
সুভাষখুঁড়ো রসিকদাদুর কপালে হাত রেখে বিজ্ঞের মতো কিছু পরীক্ষা করলেন। তারপর উদাস গলায় বললেন, "একেবারে মেরে রেখেদিয়েছে গো অলীকপুরের শয়তানগুলো !"
পঞ্চানন ডাক্তার টর্চের আলো ফেলে দেখলেন রসিকদাদু একটা মাঝারি মাপের ইঁটের টুকরোতে হোঁচট খেয়ে পড়ে গেছেন। তিনি রসিকদাদুর হাত ধরে টেনে তুললেন। রসিকদাদু উঠেই আবার গুঁড়ি হয়ে পাটকেলটা তুলে নিয়ে দূরে ছুঁড়ে দিলেন। বললেন," কি, ঠিক করলাম কিনা বলুন ! কে কখন রাস্তা পার হতে গিয়ে হোঁচট খায়, তাই ফেলে দিলাম।"
পঞ্চানন ডাক্তার মাথা নেড়ে সন্মতি জানালেন। কিন্তু সবার ধাতে সৎকর্ম সয় না। রসিকদাদুরও কপালে পরোপকার সইল না। ঝোপে প্রাতকৃত্য সেরে জগদীশ দারোগা পুকুরে শৌচে গিয়েছিলেন। শৌচ সেরে যেই উঠতে যাবেন অমনি কোথা হতে একটা পাটকেল এসে লাগল কপালে। জগদীশ দারোগা ঝপ করে জলে পড়ে গেলেন। কোনোক্রমে উঠেই যেদিক হতে পাটকেলটা এসেছে সেদিকে দৌড় লাগালেন।
রাস্তার উপরে উঠে জগদীশ দারোগা দেখলেন দু'জন লোক খোশগল্প করতে করতে যাচ্ছে। জগদীশ দারোগা বুঝে গেলেন যে এরাই সেই আততায়ী । রিভলভারটা উঁচিয়ে ধরে দুজনের সামনে এসে দাঁড়ালেন।
" হ্যাণ্ডস্ আপ ! নড়েছ কি মরেছ। ধাঁই ধাঁই করে গুলি চলবে। বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এইবারে ঘুঘু তোমার বধিব পরাণ।"
রাস্তার মাঝখানে পঞ্চানন ডাক্তার আর রসিকদাদু দুই হাত তুলে গৌর নিতাই হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। রসিকদাদুর হাত হতে লাঠি খসে পড়ে রাস্তায়। রসিকদাদু কাতর কণ্ঠে বললেন," হেই ডাকাত বাবা, আমরা ঘুঘু নই। আমাদের মেরো না। "
জগদীশ দারোগা রিভলভার নাচাতে নাচাতে বললেন," কি.. কি বললি ব্যাটা আমি ডাকাত। চল একবার থানায় তোকে বোঝাবো ডাকাত কাকে বলে।"
পঞ্চানন ডাক্তার রসিকদাদুর গা-ঘেঁষে দাঁড়ান। তিনি ভয়ে ভয়ে মিনমিন করে বলেন, " অন্ধকারে কিচ্ছু ঠাওর হচ্ছে না বাবা। আমরা দুজনেই সিনিয়ার সিটিজেন, আমাদের মেরো না।"
জগদীশ দারোগা এবার আরো রেগে গেলেন। তিনি বললেন," সিনিয়ার সিটিজেন হও আর জুনিয়ার সিটিজেন হও কাউকে ছাড়ব না। দু-দুবার আমার মাথায় ঢিল মারা হয়েছে, আমি শোধ তুলবই।"
রসিকদাদু সাহসে ভর করে বললেন," দুবার নয়, একবার আমি ঢিল ছুঁড়েছি।.. তাও ভুল করে। মাফ করে দাও বাবা।"
দু'পক্ষের বাগবিতন্ডা যখন চলছে তখনই একটা তীব্র আলো এসে জগদীশ দারোগার মুখের উপর এসে পড়ল। তীব্র আলোতে রসিকদাদু আর পঞ্চানন ডাক্তার দেখলেন সামনেই দাঁড়িয়ে রিভলভার হাতে জগদীশ দারোগা। তীব্র আলোর ঝলসানি কাটিয়ে উঠতেই জগদীশ দারোগা দেখলেন তার রথ সামনে দাঁড়িয়ে। জিপ হতে ড্রাইভার নেমে এসে বলল, "গাড়িটা হঠাৎ করে স্টার্ট হয়ে গেল দারোগাবাবু।"
জগদীশ দারোগার রসিকদাদু আর পঞ্চানন ডাক্তারকে জোর করে জিপে তুলে নিলেন। জিপে বসেই তারা দারোগাবাবুকে সমস্ত বৃত্তান্ত খুলে বললেন। দারোগাবাবু সমস্ত কথাশুনে একটু নরম হলেন। তিনি বললেন, " তাহলে প্রথম ঢিলটা ওই ছোঁড়াটাই মেরেছে। ওকে আমার কাছে হ্যাণ্ডওভার করবেন। আর আপনাদেরকে অলীকপুরে নামিয়ে দিচ্ছি চলুন।"
জগদীশ দারোগা রসিকদাদু আর পঞ্চানন ডাক্তারকে অলীকপুরের চণ্ডীমণ্ডপে নামিয়ে দিয়ে চলে গেলেন। যাবার সময় সাহেবের সব বৃত্তান্ত রজত রায়কে জানিয়ে দিয়ে গেলেন। এবং বলে গেলেন," আচ্ছা ছেলে তৈরি করেছেন মশাই। আর একটু হলে আমার ছবিতে মালা ঝুলে যেত। "
রজত রায় কাঁচুমাচু হয়ে কিছু বলতে যাচ্ছিলেন কিন্তু জগদীশ দারোগা তাতে কর্ণপাত না করে গাড়ি স্টার্ট করে দিলেন। রসিকদাদুও তাদের শর্তের কথা জানালেন । এতে রজত রায় কোন মন্তব্য করলেন না। তিনি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলেন।
ওদিকে হাতিডোবার লোকেরা অলীকপুরের লোকেদের উপর বিশ্বাস করে উঠতে পারেনি। তারা রসিকদাদুদের বেরোনোর আধঘণ্টা পরেই বাছা বাছা ষণ্ডামার্কা লোক পাঠিয়েছে অলীকপুরে। কোনোরকম বেগতিক দেখলেই রসিকদাদু আর পঞ্চানন ডাক্তারকে ঘাড়ে করে নিয়ে আসবে হাতিডোবায়।
পঞ্চানন ডাক্তার স্টেথস্কোপ বাগিয়ে হরি ডাক্তারের দিকে এগিয়ে গেলেন। হরি ডাক্তারের বুকে স্টেথস্কোপ বসানো মাত্র সাপ বাবাজী পুরাতন আশ্রয় ত্যাগ করে পঞ্চানন ডাক্তারের জামার নিচে আশ্রয় নিল। হরি ডাক্তার কাটা গাছের মতো পড়ে গেলেন ও সঙ্গে সঙ্গে মূর্ছা। আর পঞ্চানন ডাক্তার দুই বাহু তুলে নিতাইগৌর হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। এ সবকিছুর উপরে লক্ষ্য রাখছিল হাতিডোবার কম্যাণ্ডোবাহিনী । তারা পঞ্চানন রসিকদাদু আর ডাক্তারকে তুলে নিয়ে দে ছুট।
- - ৪--
সকাল হতেই মহান্তজীর আশ্রমে প্রায় মেলা বসে গেছে। গ্রামের ছেলে বুড়ো বৌ-ঝিরা এসে ভিড় জমিয়েছে আশ্রমের প্রাঙ্গণে। তিন্নির আজ কাজের শেষ নেই, - আগত লোকজনের ভিড় সামাল দেওয়া, বাপের স্ট্যাচুতে ঝাড়পোঁছ করা, অলীকপুরের ছেলেটাকে দেখাশোনা করা, আরো কত কি। আজ তার বসার সময় নেই।
অন্যদিন মহান্তজীর আশ্রমে লোক আসে নামগান করতে, আর আজ সবাই এসেছে পঞ্চানন ডাক্তারের স্ট্যাচু দেখতে। গোটা গ্রামে রটে গেছে যে অলীকপুরের লোকেরা ম্যাজিক করে পঞ্চানন ডাক্তারকে স্ট্যাচু করে দিয়েছে। গ্রামের লোকেরা সাহেবের উপর খুব রেগে আছে, একবার সুযোগ পেলেই ছিঁড়ে খেয়ে ফেলবে একদম। আর তার সাথে যোগ দিয়েছেন মহান্তজী। মহান্তজী মাঝে মাঝেই সাহেবের কাছে আসছেন আর মধুর স্বরে জিজ্ঞেস করছেন, " গোবিন্দের কৃপায় সব ঠিকঠাক আছে তো বাবা ? তোমার পিসি যদি আমাকে একটু বুঝত.... গোবিন্দ !.. গোবিন্দ !!..."
রসিকদাদু ব্যাপার-স্যাপার দেখে রাত্রেই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। সকাল থেকেই রসিকদাদুর মাঝে মাঝে জ্ঞান আসছে, আবার তিনি "ঊরিব্বাস !!! " বলে অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন। তার শিয়রের পাশেই বটেশ্বর ওঝা বসে আছেন ঝাঁটা আর শুকনোলঙ্কা নিয়ে। জ্ঞান হলেই ভুত ঝাড়বেন রসিকদাদুর।
সুভাষখুঁড়ো রসিকদাদুর কপালে হাত রেখে বিজ্ঞের মতো কিছু পরীক্ষা করলেন। তারপর উদাস গলায় বললেন, "একেবারে মেরে রেখেদিয়েছে গো অলীকপুরের শয়তানগুলো !"
No comments:
Post a Comment